কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত লেগেই রয়েছে। দু’তরফের বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ‘বিজেপির লোক’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ তোলেন। তারপরই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার পরিকল্পনা করে তৃণমূল। শনিবার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিষয়টি তোলেন সুদীপবাবু। কিন্তু রবিবার সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ করে রাজ্যপাল ইস্যুকে রাজ্যের শাসক দল অন্য মাত্রায় নিয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র অবহিত নন বলেই বিকেলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল ধনকার। তিনি বলেন, ‘আমি এরকম কোনও বিষয় জানিনা। আর কেউ আমাকে জানায়ওনি। কারও কথায় প্রতিক্রিয়া দেওয়াটা আমার কাজ নয়। তবে যদি কেউ এরকম কোনও নালিশ করে থাকেন, তবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার।’ তাঁর বিরুদ্ধে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি সমান্তরাল প্রশাসন চালাতাম, তাহলে হেলিকপ্টারে করে আমার ফরাক্কা যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয়নি। গাড়িতে করে ৭০০ কিলোমিটার সফর করতে হয়েছে আমাকে। ৫০ দিনের বেশি হয়ে গেল রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়েছেন। অথচ, এখনও আমার সঙ্গে একদিনও দেখা করতে আসেননি। তাহলে কীভাবে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছি আমি! রাজনীতি করা নয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করাটা আমার কাজ। আমি যা করছি, সেগুলো শপথ নেওয়ার সময়ই ঘোষণা করে দিয়েছিলাম।’
রাজ্যপাল ইস্যুতে সরব হওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, শীতকালীন অধিবেশনে সরকার যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনতে চলেছে, তা নিয়ে দলের অবস্থান এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি তৃণমূল। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে এখনও এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন এমপিদের কাছে আসেনি।