কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
অতিবৃষ্টিতে ধানের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিক্রির জন্য ভিজে ধান বেশি পরিমাণে চলে আসতে পারে। বৃষ্টিতে ধান অপুষ্ট হয়। সেই ধানও বেশি পরিমাণে আসতে পারে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধানের গুণগত মান যাচাই করা হয়। ধানের আর্দ্রতার মাত্রা ও কতটা খাদ বা আবর্জনা আছে, তা দেখে নেওয়া হয় যন্ত্রের সাহায্যে। কতটা আর্দ্রতা ও খাদ থাকলে ওজন বাদ দেওয়া যাবে না, সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে। তার থেকে বেশি হলে নির্দিষ্ট হারে ওজন বাদ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী চাষিরা ধানের দাম কম পান। ধানের গুণগত মান নিয়ে ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে চাপান উতোর চলে। অনেক সময় চাপ দিয়ে খারাপ মানের ধান নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
অতিবৃষ্টির জন্য এবার ধানের গুণগত মান ভালোভাবে যাচাই করার দাবি জানিয়েছে রাইস মিল মালিকদের সংগঠন। কারণ ভেজা ও অপুষ্ট ধান নেওয়া হলে চালের উৎপাদন কমবে এবং তা নিম্নমানের হবে। এর দায় রাইস মিলগুলিকে নিতে হবে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একশো কেজি ধান থেকে ৬৮ কেজি চাল দিতে হয়। রাইস মিলগুলির কর্তৃপক্ষের দাবি, বাস্তবে ৬৪-৬৫ কেজি চাল পাওয়া যায়। কিন্তু উৎপাদনের হার পরিবর্তনের দাবি কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরে বিবেচনা করলেও কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। রাইস মিল সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ভেজা ও অপুষ্ট ধান নেওয়া হলে এবার উৎপাদনের হার আরও কমতে পারে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত হারে চালের হিসেব বুঝে নেবে। তাই গুণগত মান বজায় রাখার উপর এবার বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, গুণগত মান খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা থাকে। এর জন্য তিন সদস্যের কমিটি থাকে প্রতি কেন্দ্রে। এই কমিটিতে সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে রাইস মিল মালিকদের প্রতিনিধিরাও থাকেন।
দুই ২৪ পরগনা জেলা থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক কম ধান সংগ্রহ হয়। ওই দুই জেলায় অন্য জেলা থেকে চাল সরবরাহ করে রেশনের চাহিদা মেটানো হয়। বুলবুল-এর জন্য এবার দুই জেলাতে ধান সংগ্রহ কম হবে বলে খাদ্য দপ্তরের কর্তারা আশঙ্কা করছেন। তবে এতে মোট সংগ্রহের ঘাটতি বিশেষ হবে না। কিন্তু প্রধান ধান উৎপাদক জেলাগুলিতে বৃষ্টির জন্য ফলন মার খেলে সমস্যা হতে পারে। ওই জেলাগুলি থেকে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
ধান ভানিয়ে চাল দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য রাইস মিলগুলির উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের ধান দিতে খাদ্য দপ্তরকে অনুরোধ করেছে মালিকদের সংগঠন। এবারই প্রথম রাইস মিলগুলিকে সরকারের কাছে নির্দিষ্ট অর্থের পোস্ট ডেটেড চেক বা ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা রাখতে হচ্ছে।