কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
কেন? বিজেপি পার্টি সাংগঠনিকভাবে মূলত পাঁচটি পর্যায়ে বিভক্ত। একেবারে তলায় রয়েছে বুথ কিংবা বুথ কমিটি। যেখানে রাজ্যের প্রায় ৭৮ হাজার বুথে একজন করে সভাপতি থাকার কথা রয়েছে বিজেপির সংবিধানে। চলতি সংগঠন পর্বে এখনও পর্যন্ত ৮৭ শতাংশ বুথে কমিটি কিংবা সভাপতি নির্বাচন করতে পেরেছে বিজেপি। বাকি অংশে সংখ্যালঘু মানুষের আধিক্য থাকায় প্রতিনিধিত্বের অভাবে সাংগঠনিক নির্বাচন করা যায়নি বলে দলীয় সূত্রের দাবি। বুথের পরবর্তী স্তর হল শক্তিকেন্দ্র। এলাকা ভেদে পাঁচ থেকে ছয়টি বুথ মিলিয়ে তৈরি হয় একটি শক্তিকেন্দ্র। তার উপরে রয়েছে মণ্ডল। ১০ থেকে ১৫টি শক্তিকেন্দ্র মিলিয়ে তৈরি হয় এক-একটি মণ্ডল। এরপর তৈরি হয় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা। ৮০ থেকে ১০০টি মণ্ডল নিয়ে তৈরি হয় এক-একটি সাংগঠনিক জেলা। জেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি হয় বিজেপির রাজ্য কমিটি। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৩৯টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। সাংগঠনিক নির্বাচন প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রবিবার বলেন, কয়েকটি জেলার মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। আশা করছি এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।
লোকসভা ভোটের পর সাত-সাতটি জেলার সভাপতি বদল করেছিল বিজেপি। সেগুলি হল– নদীয়া (দক্ষিণ), কলকাতা উত্তর শহরতলি, মালদহ, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি এবং শ্রীরামপুর। সূত্রের দাবি, আসন্ন নির্বাচন পর্বে ১৪ থেকে ১৬ জেলা সভাপতি পরিবর্তন হতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য দিলীপ ঘোষের নাম রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে ঘোষণা হয়ে যাবে। কেননা, দিল্লি চাইছে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করাতে। সেক্ষেত্রে দেশের সমস্ত রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করে, তাঁদের সহমতের ভিত্তিতেই অমিত শাহের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করতে চাইছে দল।