আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
এদিন এসএসকেএমেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ১১ বছরের নাসিম আক্তারের বাড়ির লোক অভিযোগ তুললেন, ভর্তি নেওয়া হল না। ছোট্ট নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। ওর আত্মীয় শাহাবুল শেখ, শাহ হোসেন বলছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বর বাড়িতে পড়ে যায় নাসিম। মাথায় চোট লাগে। প্রথমে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার রাতে বহরমপুর থেকে এসএসকেএমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের বক্তব্য, ট্রমা কেয়ার ও ওপিডিতে পরিষেবা পেয়েছি। ওপিডির চিকিত্সক ভর্তি করাতে হবে বলে লিখে দিয়েছিলেন।
পরিবারের দাবি, এরপরে বেড খালি নেই বলে ভর্তি নেওয়া যাবে না জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের লোকের বক্তব্য, রাজমিস্ত্রির কাজ করেন তাঁরা। অনেক টাকা খরচ করে এসএসকেএমে এসেছেন। কিন্তু ওষুধ দিয়ে সাতদিন বাদে আসতে বলা হল।
এদিন এসএসকেএমের জরুরি বিভাগের সামনে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রিঙ্কু সাউ। কী হয়েছে? রিঙ্কুর বক্তব্য, ফেলে রেখেই স্বামীর পায়ের সংক্রমণ বেড়ে গেল। সুগারের জন্য ঠিক হচ্ছে না। একটা পা আগেই বাদ গিয়েছে। এটা কী হবে কে জানে! রিঙ্কু বলছিলেন, আমরা আসানসোলে থাকি। প্রথমে সাগর দত্ততে ওঁকে নিয়ে তিনদিন ছিলাম। সেখানে ডাক্তার দেখলেনই না। তারপর কিছুদিন এন আর এসে। এবার এস এস কে এমে এলাম। এখানে ভর্তি তো নিল। এখন কী হয় দেখা যাক! এই কর্মবিরতির জেরে আমাদের মতো গরিব মানুষের তো উপকার হচ্ছে না কোনও।
এস এস কে এমের জায়গায় জায়গায় ট্রলিতে রোগী নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেল পরিজনদের। ঠিক অবস্থান মঞ্চের কাছেই স্বামীকে ট্রলিতে শুইয়ে কাছেই বসেছিলেন এক মহিলা। বললেন, অনেকক্ষণ বসে রয়েছি। বিকেল ৪টের সময় বেড খালি হলে, তারপর ভর্তি নেবে বলেছে। এবার দেখা যাক কী হয়!