কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
হকারদের পুনর্বাসন দিতে ‘হাজিরা যাঁর, ডালা তাঁর’-এই ভিত্তিতে সমীক্ষা করছে কলকাতা পুরসভা। অর্থাৎ সমীক্ষার সময় যে ব্যক্তি স্টল বা ডালায় বসে থাকবেন, তাঁকেই পুরসভা স্টলের মালিক হিসেবে ধরবে। তাঁর নামেই ভেন্ডিং সার্টিফিকেট বা হকার শংসাপত্র দেবে। এই পদ্ধতিতে ডালা নিয়ে জালিয়াতি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ, কেউ কেউ লোক লাগিয়ে একটি স্টলে বেচাকেনা চালাচ্ছেন। আবার অন্য ফুটপাত দখল করে নিজে ডালা নিয়ে বসেছেন। এটা চলবে না। একজন হকারের একটিই স্টল থাকবে। সমীক্ষার সময় যিনি স্টল সামলাচ্ছেন তিনিই ওই স্টলের মালিক হয়ে যাবেন।’ এর ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ডালা বিক্রির অসাধু কারবার বন্ধ হবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।
সোমবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে ডিজিটাল হকার সমীক্ষা। প্রথম দিন নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, বেহালা মিলিয়ে ৩১২ জন হকারের তথ্য অ্যাপে তোলা হয়েছে। সমীক্ষার সময় হাতিবাগানে ছিলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। নিউ মার্কেটের বারট্রাম স্ট্রিটে ছিলেন পুরসভার হকার পুনর্বাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এই দুই আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া হকার সংক্রান্ত হাইপাওয়ার কমিটির সদস্য।
সংশ্লিষ্ট থানা পুরকর্মীদের সমীক্ষায় সাহায্য করছে। রাস্তায় বসতে নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। পুরকর্মীরা প্রতিটি হকারের কাছে গিয়ে নাম ও অন্যান্য তথ্য জেনে নিচ্ছেন। তা সরকারি অ্যাপে নথিভুক্ত করছেন। আধার কার্ড, প্যানের ছবি নেওয়া হচ্ছে। স্টলের সামনে দাঁড় করিয়ে হকারের ছবিও তোলা হচ্ছে। ২০১৫ সালে যে নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে হকারের নাম আছে কি না তাও জেনে নিচ্ছেন।
অতীন ঘোষ বলেন, ‘হকারদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হল। কাউকে রাস্তার উপর বা রাস্তার দিকে মুখ করে ব্যবসা চালাতে দেওয়া হবে না। স্টলের পিছনের অংশ ঢেকে দেওয়া হবে।’ এদিন দেবাশিস কুমার রাস্তার উপর চলে আসা হকারদের ফুটপাতে তুলে দেন। পুরসভার সামনে ফুটপাত দখল করে প্লাস্টিক খাটিয়ে সংসার চলছিল। সেগুলিও সরিয়ে দেন। কয়েকজন স্থায়ী দোকানদার ফুটপাত দখল করে জিনিস রেখেছিলেন। সেগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দেন দেবাশিস।