কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, আমরা এবং আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা দেখেছেন, সাধারণভাবে মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্টের কেসে (মানে যেখানে অপারেশনের দরকার নেই) বড়জোর ১০ দিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন পড়ে। স্বাস্থ্যসাথী শুরুর পর থেকেই ১০ দিনের বেশি রোগী ভর্তি থাকলে আমরা নজর রাখতে বলেছিলাম। এই প্রথম অ্যাডভাইজরি বের করা হল। তার মানে এই নয় যে, কোনও রোগী চিকিৎসার প্রয়োজনে এই প্রকল্পের অধীনে ১০ দিনের বেশি ভর্তি থাকতে পারবেন না। আমরা শুধু বলেছি, ১০ দিনের বেশি ভর্তি থাকলে সেইসব কেস আমরা খতিয়ে দেখব। ঠিক কী কারণে এতদিন ভর্তি থাকছেন রোগী, প্রথমে তার অডিট করবেন আমাদের ২৫ জন বিশেষজ্ঞের টিম। তাঁরাও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারলে ঘটনাগুলি পাঠানো হবে বিভাগীয় সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ এমন কড়া সিদ্ধান্ত? বড় হাসপাতাল কখনও বিনা সার্জারির রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অকারণে ভর্তি করিয়ে রাখবে না। কারণ, তাতে তাদের আর্থিক ক্ষতি। কিছু ছোট ও মাঝারি হাসপাতালই এই কাজ করে। বিশেষত রোগী ‘খরার’ সময়ে কিছু টাকা তো ঘরে আসবে! এছাড়াও অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে ‘অ্যাডিসিওলাইসিস’ বা জড়িয়ে থাকা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আর রোগীর অস্ত্রোপচারের সঙ্গে আলাদা করে যুক্ত করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তই বা কেন নেওয়া হল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র সার্জন বলেন, সরকার উচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ‘অ্যাডিসিওলাইসিস’ প্যাকেজ যুক্ত করে যা ইচ্ছা তাই চলছিল। স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও রোগীকে একবারে ভর্তি করিয়ে দু’টি অপারেশন করা হলে, বেশি খরচের অপারেশনে তিনি পুরো অর্থটাই সরকার থেকে পাবেন। আর পাবেন দ্বিতীয় অপারেশনের ৬০ শতাংশ।
যেহেতু স্বাস্থ্যসাথীর প্যাকেজ মেনে রোগীদের অপারেশন করতে থাকলে আয় কমে যাবে, সেজন্য কিছু চিকিৎসক গলব্লাডার, অ্যাপেনডিক্স, জরায়ু বাদ দেওয়ার মতো অস্ত্রোপচারের সঙ্গে ‘অ্যাডিসিওলাইসিস’ যুক্ত করছিল। যাতে দু’টি প্যাকেজ দিয়ে দুই জায়গা থেকেই আয় ‘ম্যানেজ’ করা যায়। অথচ সিংহভাগ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মেই মূল অপারেশনের সময় ‘অ্যাডিসিওলাইসিস’ করতে করতে যেতে হয় সার্জেনকে।
স্বাস্থ্যসাথীতে রোগীকে কেমোথেরাপি দেওয়ার সময় হাসপাতালকে সেই ভিডিও পাঠাতেও বলা হয়েছে। রেডিওথেরাপির সময় পাঠাতে বলা হয়েছে বেডে শুয়ে থাকা রোগীর ছবি। আর এক চিকিৎসক বলেন, এক্ষেত্রেও দুর্নীতি চলছিল। গরিব রোগীদের বাসে করে নিয়ে এসে কার্ড ব্লক করে মাংস-ভাত খাইয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছিল জেলার কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত হাসপাতাল। আর স্বাস্থ্যভবনকে দেখাচ্ছিল, কেমো দেওয়া হয়েছে।
নয়া নির্দেশিকা
মেডিক্যাল অডিট করবেন ২৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
১০ দিনের বেশি রোগী থাকলেই, যাচাই হবে হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজনীয়তা
ক্যান্সার চিকিৎসার নামে দুর্নীতি ঠেকাতে রোগীর চিকিৎসার ভিডিও ও ছবি পাঠানো আবশ্যক