কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
অধ্যক্ষ বলেন, শপথগ্রহণের বিষয়টিকে রাজ্যপাল তামাশায় পরিণত করেছেন! অথচ এটা কোনও জেদাজেদির বিষয়ই নয়। শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজ্যপাল বিধানসভায় আসুন। আমিই বিধানসভার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাব এবং বিধানসভার অভ্যন্তরে নিয়ে আসব তাঁকে। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা পবিত্র জায়গা। রাজ্যপালের এখানে আসতে অসুবিধা কোথায়?
এই প্রেক্ষাপটেই এদিন আবারও রাজ্যপালকে চিঠি (চতুর্থ) দিয়েছেন সায়ন্তিকা এবং রেয়াত। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন দ্রুত। তাঁদের চিঠির সূত্রে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন অধ্যক্ষও। তিনিও চাইছেন, শপথগ্রহণ তাড়াতাড়ি মিটে যাক। তাহলে দুই বিধায়ক নিজ নিজ এলাকায় স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করতে পারবেন। তাই রাজ্যপাল যেন অধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠ করাবার অনুমতি দেন।
উপ নির্বাচনে দু’জন জিতেছেন একমাস হতে চলল, কিন্তু তাঁদের শপথগ্রহণ এখনও হল না! তা কবে হবে, প্রশ্নটি ঝুলেই রয়েছে। রাজ্যপাল এই মুহূর্তে দিল্লিতে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা আশাবাদী যে রাজ্যপাল দিল্লি থেকে ফিরেই শপথগ্রহণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবেন।
অন্যদিকে, কোচবিহার ও চোপড়ায় নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ইস্যু করে এদিন বিধানসভার গাড়ি বারান্দার সামনে ধর্না কর্মসূচি করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, শিখা চট্টোপাধ্যায়রা। বাংলায় নারীরা লাঞ্ছিত-নির্যাতিত বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। কোচবিহারের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা। বেলা ২টো পর্যন্ত তাঁদেরও কর্মসূচি চলে। কিন্তু বিধানসভার অভ্যন্তরে তৃণমূলের জয়ী দুই সদস্য গত সপ্তাহ থেকে ধর্না কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গের উল্লেখসহ অধ্যক্ষ বলেন, তৃণমূলের দুই জয়ী জনপ্রতিনিধি আগে থেকে অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন। বিজেপির মহিলা সদস্যদের কর্মসূচিতে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালনের জন্য বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।