কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
ইউনিট এরিয়া ব্যবস্থায় নাগরিকরা তাঁর সম্পত্তির সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বা স্বমূল্যায়ন করতে পারেন। সেই মতো সম্পত্তি কর নির্ধারিত হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে নয়া এই পদ্ধতি চালু হয়েছে কলকাতা পুর এলাকায়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, একাধিকবার ‘স্পেশাল ড্রাইভ’ চালিয়ে স্বমূল্যায়নের আওতায় প্রায় চার লক্ষ করদাতাকে আনা গিয়েছে, যা শহরের মোট সম্পত্তি করদাতার ৪২ শতাংশ। আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, এই শতাংশকে ‘লেটার মার্কস’ না বলা গেলেও ‘পাশ মার্ক’ বলাই যায়। তাই এবার ‘লেটার মার্কস’ জোগাড়ের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের মোট সম্পত্তি করদাতার সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৩২৯। তার মধ্যে সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট করেছেন ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৪৯ জন। সংখ্যাটা অর্ধেকের কম হলেও গত এক-দেড় বছরের মধ্যে যেভাবে দু’লক্ষ থেকে চার লক্ষের কাছে পৌঁছনো গিয়েছে, তা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি করদাতা স্বমূল্যায়ন ব্যবস্থায় ঢুকেছেন। বছরের শেষে এই সংখ্যা অন্তত সাড়ে ৪ লক্ষে নিয়ে যেতে চাইছেন আধিকারিকরা। তাই তাঁরা ফোন করে করদাতাদের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কখনও পুরসভার অফিসে তাঁদের ডাকা হচ্ছে, কখনও আবার করদাতার বাড়িতে চলে যাচ্ছেন অফিসাররা।
পুরসভার সম্পত্তি কর মূল্যায়ন এবং রাজস্ব আদায় বিভাগ সূত্রে খবর, গত এক-দেড় বছর ধরে সম্পত্তির সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন কোনও সম্পত্তির মিউটেশন কেউ করাতে গেলে তা স্বমূল্যায়নের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরনো সম্পত্তি কেউ বেচতে গেলে বা ট্যাক্স ছাড় পেতে চাইলেও ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের আওতাভুক্ত করে নেওয়া হচ্ছে সেই সম্পত্তি। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘নতুন করে যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি হচ্ছে, কিংবা যখন নতুন করদাতা পুরসভার খাতায় নাম লেখাচ্ছেন, তখন আমরা সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম পূরণ করিয়ে নিচ্ছি। তার বাইরেও বড় অংশের করদাতা রয়েছেন, যাঁদের বিভিন্ন জোনাল অফিস থেকে ফোন করে স্বমূল্যায়ন করার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের অনেক বেশি কর বকেয়া রয়েছে, সেই তালিকা ধরে ফোন করা হচ্ছে।’