কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বুধবার ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে হাওড়াতেও। সেই বৃষ্টিতেই কার্যত ভেসে গিয়েছে হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে। সেই জল ডিঙিয়েই বাস ধরতে যেতে হয় যাত্রীদের। এমন ঘটনা অতীতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এদিন কার্যত রেকর্ড গড়ল হাওড়া স্টেশন। খোদ প্ল্যাটফর্ম চত্বরেই জল জমেছে এদিন। কোথাও গোড়ালি সমান, কোথাও আবার তারও বেশি জল দাঁড়িয়ে যায় বৃষ্টির সময়। প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘক্ষণ জল দাঁড়িয়ে থাকে। থইথই প্ল্যাটফর্মে পা ডুবিয়েই ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের।
এদিন হাওড়া স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম যেখানে এসে মিশেছে, সেই বিশাল চাতালে রীতিমতো ঢেউ খেলেছে জল। এরমধ্যে সব থেকে বেশি জল জমেছিল ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনে। যাত্রীদের প্যান্ট গুটিয়ে জুতো হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। উপরে টিনের শেড থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত জল জমল? এই প্রশ্নকে ঘিরেই যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় চর্চা। সোনু কোলে নামের এক হকার বলেন, বহু বছর ধরে ট্রেনে হকারি করছি। প্ল্যাটফর্মে জল জমেছে, আগে এমন দেখিনি। ক্ষোভের সুরে ঐন্দ্রিলা বর্মন বলেন, এতদিন বৃষ্টির দিনে সাবওয়েতে জল ভেঙে যাতায়াত করতে হতো। সাবওয়ে নিচু, তাই জল জমে— একথা মেনে নেওয়া যায়। তাই বলে এত উঁচু প্ল্যাটফর্মে জল জমল কীভাবে? যেখানে গোটা প্ল্যাটফর্ম শেড দিয়ে ঢাকা। রেলের দুর্দশা আর বলে বোঝানো যাবে না। রেলযাত্রীদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলেন, এই বৃষ্টিতে যদি প্ল্যাটফর্মে জল জমে যায়, তাহলে আসন্ন বর্ষায় কতটা দুর্ভোগ পোহাতে হবে, তা সহজেই অনুমেয়।
রেল সূত্রে খবর, প্ল্যাটফর্মের ড্রেনেজ সিস্টেম যথেষ্ট ভালো। এদিনের জল জমা একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা। যার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। মূলত ১১ এবং ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে শেডের টিন বদল হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হওয়ায় একলপ্তে প্রচুর জল সরাসরি প্ল্যাটফর্মে পড়েছে। ফলে ড্রেনেজ সিস্টেমের উপর চাপ আরও বাড়ে। তাছাড়া জল বেরনোর পথে প্লাস্টিক, কঠিন বর্জ্য জমে নিকাশি ব্যবস্থা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। ফলে শেডের জল পাইপ বেয়ে নামলেও বেরনোর পথ না পাওয়ায় প্ল্যাটফর্ম ভাসিয়ে দেয়। এ নিয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন ব্যাগের মতো কঠিন বর্জ্যের কারণে জল নিকাশির বিভিন্ন পাইপ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাই বৃষ্টির জল বেরতে পারেনি। ভূগর্ভস্থ নালাগুলির উপরে চাপ বেড়ে যায়। তবে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেগুলি সাফ করার ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা আর হবে না বলেই আশা করা যায়।