কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
নিউটাউনে আবাসনের ছড়াছড়ি। সেখানে রয়েছে অসংখ্য ফ্ল্যাট। ২০ হাজার ফ্ল্যাটের আবাসনও রয়েছে। সেখানে কে মালিক, কে ভাড়াটিয়া, আবাসন কর্তৃপক্ষের কাছেও অনেকে সেই তথ্য গোপন করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দালালদের হাত ধরে অসাধু ভাড়াটে চক্রও গজিয়ে উঠছে। যাঁরা সত্যিই ভাড়া নেন, তাঁরা বৈথ চুক্তিপত্র, বৈথ নথিপত্র দিয়ে থাকেন। কিন্তু, যাদের উদ্দেশ্যে থাকে অন্য, তারা নানা কৌশলে ফ্ল্যাট খোঁজে। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের ভাড়া পেতে কমিশন দিতে হয় অনেক বেশি।
২০২১ সালের জুন মাসে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে পাঞ্জাব পুলিসের এসটিএফের সঙ্গে পাঞ্জাবেরই দুই গ্যাংস্টারের গুলির লড়াই হয়েছিল। তাতে দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যু হয়। তখন জানা যায়, ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছিল দুই গ্যাংস্টার। অথচ, ফ্ল্যাটের মালিক জানতেনই না! তিনি থাকেন দেশের বাইরে। ফ্ল্যাটের চাবি ছিল দালালের কাছে। সেই দালালই ভাড়াটিয়া ঠিক করত। ভুয়ো নথিপত্র দিয়েই দালালের কাছ থেকে সেই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল কুখ্যাত ওই দুষ্কৃতীরা।
বাংলাদেশের সাংসদ কাণ্ডেও দেখা যাচ্ছে, তিনি যে ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন, সেই ফ্ল্যাটটি দালাল মারফত দু’হাত ঘুরে তাঁর কাছে এসেছে। তদন্তে সিআইডি জেনেছে, ফ্ল্যাটের আসল মালিক সন্দীপ রায় আবগারি দপ্তরের অফিসার। তিনি ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছেন আফতাব উল জামান নামে এক মার্কিন নাগরিককে। তিনি এই ফ্ল্যাটে থাকেনই না। দালালের কাছে চাবি। দালাল মারফত ‘ভাড়ার ফ্ল্যাট’ ফের ভাড়ায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ মহম্মদ আনোয়ারুল আজিম আনার।
সাপুরজির ঘটনার পর ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত তথ্য থানায় জমা করতে পুলিসের পক্ষ থেকে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। এমনকী, বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে অ্যাপ মারফতও ভাড়াটিয়া তথ্য জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর ফের জানা গেল, অনেকেই তথ্য গোপন করে চলেছেন। কার হাতে ফ্ল্যাটের চাবি, তা জানেন না বহু মালিক।