সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই সন্দেশখালি দেশের মানুষের কাছে পরিচিত নাম হয়ে যায়। এলাকায় মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে কিছু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জমি দখল, ভেড়ি নষ্ট করা নিয়েও তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হন সন্দেশখালির মহিলারা। অভিযোগ পাওয়ার পর জমি ফেরানো থেকে ভেড়ি সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারিভাবে ক্যাম্প করে রাজ্য সরকার। সেখানে, মানুষ তাঁদের অভিযোগ জানান। তাঁদের সমস্যার সুরাহাও হয়। কিন্তু এই ইস্যুকে সামনে রেখে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে মরিয়া হয়ে ওঠে গেরুয়া শিবির। সেজন্য সন্দেশখালি আন্দোলনের ‘প্রতিবাদী মুখ’ বলে পরিচিত রেখা পাত্রকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বঙ্গ বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি রেখা পাত্রের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিজেপি নেতার স্টিং ভিডিও সামনে আনে তৃণমূল। সেখানে বিজেপির ছকের পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। এতে বিজেপিকে যে চরম বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়, সেকথা মানছেন দলের নেতাদের একাংশ।
মঙ্গলবার বসিরহাটের মেরুদণ্ডী মাঠে সভা করতে এসে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সন্দেশখালি ইস্যুকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে কী বলতে হবে, সেটা মহিলাকে শেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এর আগে কতজন মহিলার খোঁজ নিয়েছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। এদিন তৃণমূল নেত্রীর দাবি, টাকার বিনিময়ে মহিলাদের সম্মান নষ্ট করেছেন বিজেপি নেতারা। এরপর বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন। সভার শেষের দিকে সকলকে চমকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বসিরহাটের সভা থেকে সন্দেশখালির মানুষের কাছে বার্তা দিয়ে প্রত্যয়ী মমতার ঘোষণা, ভোটে জিতেই আমি সন্দেশখালিতে পা রাখব। মমতা আরও বলেন, বসিরহাটের মানুষকে যেতে হয় সুদূর বারাসতে। আর সেটা মেটানোর জন্য আমরা বসিরহাটকে পৃথক জেলা করব। সেই পরিকল্পনা আমাদের নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা যেটা বলি, সেটাই করি। কথার খেলাপ করি না বিজেপির মতো। আপনারা নিশ্চিত থাকুন, বসিরহাট জেলা হচ্ছে।