সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঁথির বাসিন্দা ওই তরুণীর বাড়ির লোকজন অনেকদিন ধরে বিয়ের চেষ্টা করছিলেন। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বছর চারেক আগে বিজ্ঞাপন দেন। সেখানে ওই তরুণীর ছবি ও যোগাযোগের নম্বর দেওয়া ছিল। পাত্র সেজে যোগাযোগ করে দীপাঞ্জন। নিজেকে পদস্থ সরকারি কর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। কলকাতায় তাঁর পোস্টিং রয়েছে বলে জানায়। তরুণীর বাড়িতে আসে। ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখায়। অভিযোগকারিণীর কাছ থেকে ফোন নম্বর নেয় অভিযুক্ত। দু’জনের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলতে থাকে। মেসেজ আদানপ্রদানও হয়। দীপাঞ্জন তরুণীকে জানায় তাঁকে বিয়ে করবে। নির্যাতিতার পরিবারের কাছে সে এই প্রস্তাব দিলে তাঁরাও রাজি হয়। বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত তাঁদের বাড়িতে আসে। দু’জনে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা করে শুরু করে। একসঙ্গে বেড়াতেও যেত। দু’জনের বিয়ে হবে বলে তরুণীর পরিবারের কেউ তাতে বাধা দেননি। চারবছর ধরে ওই তরুণীকে নিয়ে জেলার বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট ও ভিন রাজ্যে গিয়েছে অভিযুক্ত। তারা একসঙ্গে হোটেলে রাত কাটিয়েছে। সেখানে ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণী। যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়ে যাওয়ায় তরুণীও বাড়িতে কিছু জানাননি। বেশকিছুদিন ধরে অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে হুমকি দিচ্ছিল তাঁদের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি মোবাইলে রাখা রয়েছে। তাকে টাকা ও সোনার জিনিস না দিলে এগুলি ভাইরাল করে দেবে। তরুণী সামাজিক সম্মান ও পরিবারের ভয়ে টাকা দিতে রাজি হন। এভাবে বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নেয় অভিযুক্ত। সোনার জিনিসও নিয়েছিল। ক্রমেই টাকার চাহিদা বাড়তে থাকে। যা দিতে রাজি হননি তরুণী। গোটা ঘটনার কথা তিনি বাড়িতে জানান। পরিবারের সদস্যদের কথামতো তিনি মে মাসের শুরুতে অভিযোগ করেন সিঁথি থানায়।
পুলিস প্রথমে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে। চারদিন আগে ওই তরুণী আদালতে গোপন জবাবনবন্দি দেন। তার ভিত্তিতেই পুলিস ধর্ষণ ও তোলাবাজির মামলা রুজু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায় অভিযুক্তের বাড়ি খড়্গপুরে। সেখানে হানা দিয়ে তাকে ধরে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।