কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
বীজপুর থানার পলাশি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পার্টি অফিস রয়েছে। এই অফিসটি নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত। গত রবিবার ভোরেও নৈহাটির একটি অফিসে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার রাতে পলাশির অফিসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। অফিসের জানালার কাঁচ ভেঙে দেয়। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায়। বীজপুর থানার পুলিসও ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিকও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই পরিকল্পিতভাবে ওরা এই ধরনের অশান্তি করছে। বহিরাগতদের এনে এই কাজ করছে। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর জবাব দেবে। বীজপুর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী বলেন, পার্টি অফিসে ভাঙচুর করার পাশাপাশি, বিজেপির দুষ্কৃতীরা বোমাও ফাটিয়েছে। এমনকী, আমাদের অফিসে একটি জাতীয় পতাকা ছিল। ওরা সেটাও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে, ওইদিন রাতেই জগদ্দলের নেতাজিনগরে বিজেপির একটি পার্টি অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। অফিসের চেয়ার, টেবিল এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙা হয়। এদিন সকালে তা নজরে আসতে বিজেপি শিবিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বারাকপুরের বিজেপি নেতা রবীন ভট্টাচার্য বলেন, মানুষের সমর্থন কমতেই তৃণমূল আমাদের অফিসগুলিতে হামলা চালাচ্ছে। জগদ্দলের অফিসটি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু অফিস নয়, আমাদের কর্মীদের বাড়িতেও ওরা হামলা চালাচ্ছে। সোমবার রাতে বারাকপুরে আমাদের শক্তি প্রমুখের বাড়িতে আগুন লেগেছে। হঠাৎ কীভাবে তা লাগল, সেটাই সন্দেহ। এর পিছনেও তৃণমূল থাকতে পারে। বীজপুরে তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওটা আমাদের কেউ ভাঙেনি। ওটা তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফল।