কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার জয়গাছি এলাকায় পুরসভার সুপার মার্কেট রয়েছে। ওই জায়গায় সপ্তাহে দু’দিন রেডিমেড জামা-কাপড়ের হোলসেল বাজার বসে। হাবড়া, অশোকনগর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কারিগর ও ব্যবসায়ীরা পসরা নিয়ে যান। শুধু উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নয়, পাশের নদীয়া থেকেও ব্যবসায়ীরা যান। ওই বাজারে আনাগোনা কমবেশি ৮০০ ব্যবসায়ীর। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই বাজারে কোনও স্থায়ী দোকান নেই। কেউ অ্যাজবেসটসের ছাউনির নীচে বসেন, কেউ-বা ব্যবসা করেন পলিথিন শিট টাঙিয়ে। প্রত্যেক বাজারের দিন যশোর রোডের উপরেও ব্যবসায়ীরা বসতে বাধ্য হন। এই বাজারে কয়েক হাজার মানুষের আনানোগা হলেও সেই অর্থে পরিকাঠামো বলতে কিছুই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। এই হাব হলে ব্যবসায়ী ও কারিগরদের নিজস্ব স্টল তৈরি হবে। ফলে বাজারের দিন ছাড়াও অন্যান্য দিনে তাঁরা দোকান খোলা রাখতে পারবেন। বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ক্রেতারা অন্যান্য দিনেও কেনাকাটা করতে পারবেন। স্থায়ী স্টল হলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসাও বাড়াতে পারবেন। হাবড়ার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে রাজ্য সরকার ওই জায়গায় কিছুদিন ধরে টেক্সটাইল হাট তৈরির পরিকল্পনা নেয়। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ওই হাট তৈরির জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পূর্তদপ্তরকে (সিভিল) হাট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচতলা এই হাটে প্রায় ৮৫০ ব্যবসায়ীকে স্টল দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ঝাঁ চকচকে এই হাটে মূলত কাপড়ের পাইকারি বাজার বসবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে মোট ১৫৯টি স্টল তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার প্রতিটিতে ১৭২টি করে স্টল থাকবে। পাঁচতলায় অবশ্য কোনও স্টল তৈরি করা হবে না। টেক্সটাইল হাট পরিচালনার যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ পাঁচতলায় হবে। তাই এই অংশে শুধুমাত্র অফিস তৈরি করা হবে। শপিং মলের আদলে তৈরি এই হাটে লিফট, সিসি ক্যামেরা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, টয়লেট প্রভৃতি আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, জয়গাছিতে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাইকারি দরে জামাকাপড় বিক্রি করেন। বহু ব্যবসায়ীর সমাগম হয় বলে সকলে পুরসভার সুপার মার্কেটে বসার জায়গা পান না। তাই টেক্সটাইল হাট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এখানকার পরিকাঠামো সবরকমে হবে যুগোপযোগী। পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে পুরসভা। একেবারে ন্যূনতম মূল্যে স্টলগুলি ব্যবসায়ীদের ভাড়ায় দেওয়া হবে।