কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
ফলে একদিকে যেমন বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাতে অজস্র দোকানপাট, অন্যদিকে আদালত সহ দোতলার একাধিক পুলিস অফিসে প্রবেশের রাস্তাই কার্যত অবরুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভোগান্তি বাড়ছে সবার। এখানে নিত্য কাজে আসা সরকারি কর্মচারীদেরও কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও কর্তৃপক্ষ মতামত দিতে রাজি নয়।
শহরের এই অফিসপাড়ায় সবক’টি রাস্তার ফুটপাতের বেশিরভাগটা জবরদখল করে নানা ধরনের দোকানপাট বহুদিন ধরে চলছে। তবুও পুরভবন, জেলা পরিষদ এবং পুলিস কমিশনারের অফিস সহ কয়েকটি দপ্তরের সামনের ফুটপাত ফাঁকাই থাকে। ফলে হাতেগোনা এই অফিসগুলোতে যাতায়াতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু রেড বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশের রাস্তা খুঁজে পেতেই নাকাল হন নতুন লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, এভাবেই তো চলে আসছে বছরের পর বছর। পুলিস কাউকে তুলতে এলেই তুলকালাম বেধে যাবে। তবে এদের অন্য কোথাও ব্যবস্থা করা হলে ভালো হয়। এখানে যাঁরা প্রয়োজনে আসেন, তাঁদের খুবই ভোগান্তি হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী পরমেশ সাউ বলেন, মানুষের সমস্যা তো হয়ই। তার চেয়ে ভয়ের হল, কখনও আগুন লাগলে কেউ রেহাই পাবে না। ভবনের ভিতরে যেমন কাগজপত্র ঠাসা, বাইরেও নানা দোকানপাটে প্লাস্টিকের ছাউনি। ফলে পরিস্থিতি খুব উদ্বেগের। দেখা গেল, ফুটপাত কিছু অবশিষ্ট না-থাকায় রাস্তা দিয়েই লোকজন হাঁটছে অথবা রাস্তাতেই অপেক্ষা করছে। তাদের গা ঘেঁষেই চলাচল করছে বাস, ট্যাক্সি, অটো রিকশ। মাঝেমাঝেই গাড়িগুলি প্রায় মন্থর হয়ে যায়। যানজট ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা এলাকায়। এই বিষয়ে পুলিস বা প্রশাসনের কোনও অফিসার মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিসের অন্য সূত্রে বলা হয়েছে, বহুদিন ধরে এসব দোকানপাট চলছে। এখন তুলে দেওয়া মুশকিল। তবে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সহ যদি কিছু করতে চায় প্রশাসন, সুরাহা মিলতে পারে। কিন্তু সেই উদ্যোগ কবে নেওয়া হবে? কোটি টাকার প্রশ্ন।