কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। হঠাৎ প্রেমে পড়তে পারেন। কর্মে উন্নতির যোগ। মাঝেমধ্যে ... বিশদ
গত ১৪ আগস্ট জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। পুরসভার নির্দিষ্ট সাইটে গিয়ে যাবতীয় নথিপত্র অনলাইন মাধ্যমে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। তবে শংসাপত্রের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি শারীরিকভাবে এতদিন পর্যন্ত করতে হতো আবেদনকারীদের। সেটা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। এতে সমস্যায় পড়েন আবেদনকারীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরাও তা স্বীকার করেন। বর্তমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আবেদনকারীকে ফর্ম নম্বরসহ পুরভবনে গিয়ে পেমেন্টের চালান সংগ্রহ করতে হয়। সেই চালান নির্ধারিত ফিস সহ সহযোগী ব্যাঙ্কে জমা দিতে হয়। টাকা জমার পর সেই চালান দপ্তরে গিয়ে জমা দিলে তবেই মেলে সার্টিফিকেট। অনলাইন পেমেন্ট চালু হলে শংসাপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক সরল হয়ে যাবে। পুরসভা সূত্রের খবর, পুরো প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হবে, তাদের সঙ্গে কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কিছু অফিসিয়াল কাজকর্ম বাকি রয়েছে। সেগুলি সম্পূর্ণ হলেই সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকেই জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেটের আবেদন করতে পারবেন।
বিধাননগরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নতুন ব্যবস্থায় তাঁরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। পুরসভার সদর দপ্তরে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে হত্যে দিতে হবে না। সময় সাশ্রয়টাই হবে বড় পাওনা। পুরসভা সূত্রের খবর, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর অনলাইনেই ভেরিফিকেশন করবেন দপ্তরের কর্মীরা। আবেদনকারীর জন্ম কিংবা মৃত্যু সম্পর্কিত যাবতায় তথ্য এবং নথি সঠিক থাকলে তাঁর কাছে পুরসভা থেকে একটি মেসেজ যাবে। মেসেজে থাকবে একটি চালান নম্বর। সেই নম্বর মারফত পুরসভার সাইটে গিয়ে টাকা জমা করতে পারবেন আবেদনকারীরা। সেখানে ব্যাঙ্কে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়া যাবে। এই প্রক্রিয়া শুরু হলে ডেবিট কার্ড এবং অনলাইন ওয়ালেটের মাধ্যমেও পেমেন্ট করা যাবে। টাকা জমা পড়লে ফের মেসেজ যাবে আবেদনকারীর কাছে। সেই রসিদ পুরভবনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অথবা স্থানীয় বরো অফিসে দেখিয়ে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন তাঁরা।