বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি। সিঁথির এক প্রোমোটারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে লক্ষাধিক টাকার স্যানিটারি সামগ্রী চুরির তদন্ত করছিলেন ওই থানার সাব ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ দাস। সিঁথি থানার দাবি, চুরির অভিযোগে আসুরা বিবি এবং ‘চোরাই মালের ক্রেতা’ হিসেবে স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজকুমার সাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিঁথি থানায় ডাকা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলাকালীন সিঁথি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মারা যান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সাব ইন্সপেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ দাস ও অরিন্দম দাস এবং সার্জেন্ট চিন্ময় মাহাত রাজকুমারবাবুকে মারধরের পাশাপাশি ইলেকট্রিক ‘শক’ দিয়েছিলেন। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারবাবুর।
স্বাভাবিকভাবেই পুলিস হেফাজতে থাকাকালীন অভিযুক্তের মৃত্যু হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন মেনে অভিযুক্ত তিন পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস। পাশাপাশি, তিনজনকেই ‘ক্লোজ’ করা হয়েছিল। এই মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ম মেনে ইতিমধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। পাশাপাশি, মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলাতেই আজ রিপোর্ট পেশ করার কথা রাজ্য সরকারের।