বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর সময়ই কলকাতা পুলিসের কমিশনার অনুজ শর্মা বলেছিলেন, যেখানেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বিপদে পড়বে, পুলিস কর্মীদের পাশে পাবে। সর্বদা কলকাতা পুলিস সতর্ক রয়েছে। এমনকী, কন্ট্রোল রুমকেও তিনি বিশেষভাবে সক্রিয় থাকতে বলেন। এরপর দেখা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শহরে যে কোনও সমস্যায় পুলিসকে পাশে পেয়েছে। কাউকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে, কখনও আবার অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি থেকে এনে দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যা ঘটেছে, তা এককথায় নজিরবিহীন। সার্জেন্ট চৈতন্য মল্লিক ইনভিজিলেটরকে অনুরোধ করে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে বসিয়ে বাড়ি থেকে এনে দিয়েছেন অ্যাডমিট কার্ড। ওই সার্জেন্টের এমন ভূমিকায় লালবাজারের কর্তারাও খুশি। তাঁদের কথায়, পুলিসের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই ধরনের ঘটনাগুলি থেকেই প্রমাণিত হয়। পুলিসের এই মানবিক মুখ দেখে বিবেকানন্দ রোডের ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা অন্যান্য পরীক্ষার্থীর পরিজনরাও অত্যন্ত খুশি।
যাঁর জন্য ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারল, সেই সার্জেন্ট চৈতন্য মল্লিকের কথায়, আমি আমার কাজের থেকেও বড় করে ভেবেছি মেয়েটির কথা। ওর সাউথ ট্যাংরার বাড়িতে গিয়ে দেখি, অত্যন্ত দরিদ্র ঘরে বসবাস করে সুমন। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেও সে যে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে, তার জন্য আমি ওকে কুর্নিশ জানিয়েছি। আমি চাই, ও অনেক ভালো ফল করে বড় হয়ে উঠুক। আমি শুধু আমার কর্তব্য পালন করেছি। এটা আমার গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। পরীক্ষা শেষে সুমন বলল, ওই সার্জেন্ট কাকুই আমার কাছে এদিন ভগবানের মতো এলেন। সকালে তাড়াতাড়ি বেরতে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। উনি না থাকলে, আমার সব লড়াই শেষ হয়ে যেত। অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিচ্ছি। চোখটা ছলছল করে উঠল সুমনের।