দক্ষিণবঙ্গ

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা দ্রুত খরচ করার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করতে না পারার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করল জেলা প্রশাসন। শনিবার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে নদীয়া জেলার দু’টি মহকুমার ১১টি ব্লকের ১১৩টি পঞ্চায়েত নিয়ে এই পর্যালোচনা সভা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে কৃষ্ণনগর ও তেহট্ট মহকুমার কৃষ্ণনগর-২, নাকাশিপাড়া,  তেহট্ট-১,  করিমপুর-১, চাপড়ার মতো ব্লকগুলির বেশ কিছু পঞ্চায়েত কাজের নিরিখে পিছিয়ে গিয়েছে। এদিনের পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অনুপ দত্ত, কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক শারদ্বতী চৌধুরী, তেহট্ট মহকুমা শাসক অনন্যা সিং, ডিপিআরডিও দীপঙ্কর দাস। 
এই মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেন এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, নির্মাণ সহায়ক, পঞ্চায়েতের সেক্রেটারিরা। প্রসঙ্গত, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নদীয়া জেলা রাজ্যে এক নন্বর স্থান দখল করেছিল। ওই সপ্তাহে ১৯৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৩৭.০৬ কোটি টাকা খরচ করে। তার  আগে নদীয়া জেলা ১৯তম স্থানে ছিল। তারপর এ নিয়ে জেলা প্রশাসনিক কর্তারা ক্রমাগত পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা ও বিভিন্ন চাপের কৌশল নেয়। পঞ্চায়েত নিয়ে বৈঠক করে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ জেলাশাসক। তার আগে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পারফরম্যান্সের নিরিখে তিন ধাপে ১২০ জন কর্মিকে বদলিও করা  হয়। নির্মাণ সহায়ক, পঞ্চায়েত সেক্রেটারি, পঞ্চায়েত সহায়ক, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট এই চার শ্রেণির কর্মচারীকে বদলি করা হয়। তাতে ফল ভালো হয়। তবে নদীয়া এক নম্বর স্থান থেকে এই মুহূর্তে দু’নম্বরে  চলে গিয়েছে। মূলত ২০২৪-২৫ আর্থিকবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখেই দু’ নম্বরে চলে যাওয়া। তাই ফের ভালো কাজের মাধ্যমে পুনরায় ১ নম্বর স্থানে ফেরা এই মুহূর্তে লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ফিরতে জেলা প্রশাসন এদিন মিটিং করেন। এই মিটিংয়ে জেলার প্রশাসনিক কর্তারা কড়া মনোভাব দেখান। তাই  ২০ ডিসেম্বর বিডিওদের নিয়ে মিটিংও ডাকা হয়েছে। এই মিটিংয়ের আগেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা যে সমস্ত পঞ্চায়েতে পড়ে আছে, এদিন তাদের টাকা খরচ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই সমস্ত ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন  নির্দেশ দেয় ২ লক্ষ টাকার নীচের স্কিমগুলো রূপায়ণ করা নিয়ে। ছোট এই স্কিমগুলো ৩০ দিনের মধ্যে রূপায়ণ করা যায়। এরকম স্কিম জেলাতে ৫১ কোটি টাকার  রয়েছে। তাই সমস্ত ব্লককে পুজোর আগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে। একইসঙ্গে নভেম্বরের মধ্যে পেমেন্ট নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্ত বিঘ্ন ঘটে যায়। তাই এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন চাইছে ২০ ডিসেম্বর বিডিওদের নিয়ে মিটিংয়ের আগেই সকলে যেন ২ লক্ষ টাকা স্কিমের এই ৫১ কোটি টাকা ব্যয় করে ফেলে। এমনকী পেমেন্টও  যেন সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তাই সকলকে ২০ ডিসেম্বর লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অনুপ দত্ত বলেন, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ২ লক্ষ  টাকার স্কিমের ৫১ কোটি টাকা ব্যয় করার সঙ্গে পেমেন্টও যেন হয়ে যায়। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  এ নিয়ে আমরা কড়া মনোভাব নিয়েছি। নাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
18d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.২৮ টাকা৮৬.০২ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৬ টাকা১০৮.৫৭ টাকা
ইউরো৮৬.৮৬ টাকা৯০.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা