বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এবিষয়ে কান্দি মহকুমা কৃষি আধিকারিক মৃদুল ভক্ত বলেন, এই সময় বৃষ্টি হলে আলুর ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে আলুর ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। কোনও চাষি এখনও পর্যন্ত অভিযোগ করেননি। তবে এই বৃষ্টির ফলে আলুচাষে কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা তা সরেজমিনে দেখার জন্য আমাদের কর্মীদের বলা হয়েছে। তাঁরা রির্পোট জমা দিলে বৃষ্টির কারণে আলুর ক্ষতি হয়েছে কিনা জানা যাবে।
কান্দি মহকুমা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট চাষযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে এবছর আলুচাষ হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ জমিতে। অর্থাৎ প্রায় ২০ হাজার ৪৭১ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। কান্দি মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে এবছর আলুচাষ হয়েছে। এর মধ্যে বড়ঞা ব্লক এলাকায় আলুচাষ হয়েছে প্রায় আট হাজার হেক্টর জমিতে। বেশিরভাগ চাষি এসওয়ান এবং পোখরাজ প্রজাতির আলুচাষ করেছেন। কিছু চাষি জ্যোতি আলুও লাগিয়েছেন।
চাষিরা বলেন, এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে। এক বিঘা জমিতে গড়ে প্রায় ৭০ বস্তা করে আলু পাওয়া যাচ্ছে। একবিঘা জমির জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা। কিন্তু এসওয়ান এবং পোখরাজ জাতীয় চাষিদের আলুর বাজার দর প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। বুধবার বড়ঞা ব্লক এলাকায় ওই জাতীয় আলু ১৬০ টাকা প্রতি বস্তা, কান্দিতে ১৭০ টাকা এবং ভরতপুরে ১৮০ টাকা বাজার দর রয়েছে। কাজেই আলুচাষ করে চাষিদের ব্যাপক লোকসান হচ্ছে বলে চাষিরা জানান।
এদিকে, গত তিনদিন ধরে মেঘলা আবহাওয়া এবং অকাল বৃষ্টির প্রকোপ আলুগাছে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। বড়ঞা ব্লকের কয়থা গ্রামের আলুচাষি সমীর ঘোষ বলেন, মেঘলা আবহাওয়া এমনিতে আলুগাছের ক্ষতি করছে। তার উপর অকাল বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় জল জমতে শুরু করেছে। এতে আলুর গায়ে পচন ধরে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই ব্লকের পাটশালিকা গ্রামে আলু চাষি বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, আলু এখন তোলার মুখে। এরপর আমরা আলু হিমঘরে রাখবার জন্য প্রস্তুত হব। কিন্তু, এমন আবহাওয়ার জন্য জমি থেকে আলু উঠিয়ে নিতে হচ্ছে। আমার মতো অনেক চাষি আলু ওঠাতে শুরু করেছেন। কারণ, এই আবহাওয়ায় আলু জমিতে রাখলে তা পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।