বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, জেলাতে এখন সরিষা উৎপাদনের পর কৃষকেরা আমন ধান উৎপাদনের আগে পাট চাষ না করে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। বাদাম চাষ করলে কৃষকেরা তিন মাসের ভেতর ফসল ঘরে তুলে আবার সেই জমিতে আমন ধান উৎপাদন করতে পারেন। বাদাম চাষ করলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বাদাম চাষে জল কম লাগে। জেলায় সেচ পেতে অসুবিধা হয় এমন এলাকায় বাদাম চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। বাদাম চাষিদের আমরা সরকারিভাবে বীজ দিচ্ছি। কীভাবে বাদাম চাষ করতে হবে সেবিষয়ে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তপনের বাদাম চাষি লুৎফর রহমান বলেন, যেসব জমি পতিত রয়েছে ও যেসব কৃষক আমন ধান সময়ের ভেতরে রোপণ করতে চান তাঁদের অর্থকারী ফসল বাদাম চাষ করা উচিত। আমি দু’বছর ধরে তিন বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি। লক্ষাধিক টাকার বাদাম বিক্রি করেছি। ধান সহ অন্যান্য ফসলের সঙ্গে বাদাম চাষের গুরুত্ব বাড়ছে। আমাদের এলাকার চাষিরা ডালশস্য চাষের পাশাপাশি বাদাম চাষ করছেন। এতে সকলেই লাভবান হচ্ছেন। ব্লক কৃষিদপ্তর থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ধান, গমের পাশাপাশি কৃষকরা বাদাম চাষ করছেন। অনেক কৃষকই পাট চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। জেলাজুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে বাদাম চাষ শুরু হয়েছে। বাদাম অর্থকরী ফসল হওয়ায় কৃষকর এতে ঝুঁকছেন। দপ্তর থেকেও কৃষকদের চাষ করতে সাহায্য করা হচ্ছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে বাদাম চাষে আগ্রহী কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। এবারে জেলার ২০০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ শুরু হয়েছে। জেলার প্রায় ২০০০ কৃষক পাট চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল এ-২৪ এবং ক্যাট-২০ এই দুই প্রজাতির বাদাম চাষ শুরু করেছেন।