Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বুধনি হল শিবরাজ সিং চৌহানের নির্বাচনী কেন্দ্র। একদিকে ভোপাল। আর অন্যদিকে হোশঙ্গাবাদ। মাঝখানে বয়ে চলেছে নর্মদা নদী। সিহোড়ের বাসিন্দা বাসযাত্রী বলেছিলেন, আমি সন্তানদের নিয়ে বাংলায় বেড়াতে গিয়েছি জানেন তো। দুটো কারণে। দার্জিলিং দেখব। আর শান্তিনিকেতন। সেখান থেকে ফিরে আমার আর আমার মেয়েদের অন্যতম প্রিয় গান হয়ে গিয়েছে, ‘আমাদের শান্তিনিকেতন’। আমরা মাঝেমধ্যেই ছুটির দিনে ওই গান গাই। আমাদের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের সম্পর্ক নেই। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ, আর গান বাজনা শুনে মোহিত হয়ে গিয়েছে বড় মেয়ে। সে বায়না ধরেছে ওখানে পড়বে। বাংলা জানে না, বাঙালি কালচার জানে না। কীভাবে মানিয়ে নেবে বলুন তো! তাঁকে বলেছিলাম, জওহরলাল নেহরু তাঁর কন্যাকে শান্তিনিকেতনে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। অসুবিধা হবে না। এদেশি বিদেশি বহু ছাত্রছাত্রী পড়ে। সেই সরকারি কর্মী বাঙালির সাহিত্য, সংস্কৃতি, বইমেলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবল মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন।
২০২৪ সালের মে মাসে এই কিছুদিন আগে চম্বলের বানমোড় থেকে মুরেনা যাওয়ার পথে বাসের সহযাত্রী লোকেন্দ্র টোমার জানতে চাইলেন, কলকাতা তো শ্মশান হয়ে গিয়েছে! এখনও ওখানে শিক্ষিত বাঙালি থাকে? নাকি সব পালাচ্ছে? লোকেন্দ্র টোমার থাকে অম্বার মঈ গ্রামে। গোয়ালিয়র থেকে ফিরছে। জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। প্রশ্ন করেছিলাম কেন? সবাই পালাবে কেন? লোকেন্দ্র বললেন, এই যা মোবাইলে, আর নিউজে দেখি। তাছাড়া গোয়ালিয়রে তো প্রচারেও বিজেপি বলছিল বাঙ্গালে মেয়েদের কোনও সম্মান নেই। ওখানে নাকি অনুপ্রবেশকারীদের রাজত্ব চলে। তিন চারটে জেলা বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে। ওখানে ভারতের টাকাও চলে না। বাংলাদেশের টাকা। আর পরীক্ষা টরীক্ষা সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন আর বাংলায় কোনও আগের মতো টিচার, ডাক্তার, উকিল পাওয়া যায় না। সব ঘোটালা করে পাশ করে। সবাই দু নম্বরী। ভোটও তো নাকি হয় না। সব ভোট ছিনতাই করে নেয় টিএমসি। মানুষ ভোটই দিতে পারে না।  বাংলার এই অবস্থা ভাবা যায়? এরকম একটা রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেল? কিছুই বিকাশ হল না। 
এসব ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করে লাভ হয় না। কারণ, বাংলার অবস্থা অতীতের চম্বলের মতো হয়ে গিয়েছে, এরকম যদি এখানে মানুষজন বিশ্বাস করে, তাহলে সেই ভাবনার বদল ঘটানো যাবে না। আর তখনই স্পষ্ট হল, যে অপপ্রচার এবং অসত্য প্রোপাগান্ডার শক্তি ঠিক কতটা শিকড়ে প্রোথিত হয়ে যায়। সন্দেশখালি অথবা অন্য যে কোনও ঘটনার সত্যাসত্য বিচার না করে আগেভাগেই দেশজুড়ে প্রবলভাবে প্রচারমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে। চম্বলের রাস্তায় যেতে যেতে বোঝা যাচ্ছিল, যে বাংলার বদনাম করাই আসল উদ্দেশ্য এই ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে গোটা রাজ্য এবং গোটা বাঙালি জাতি সম্পর্কে অপবাদ দেওয়ার একটি পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে। 
প্রশ্ন জাগছে, এই যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সামগ্রিকভাবে বাংলা একটি অবাসযোগ্য স্থান, এখানে শিক্ষিত মানুষ থাকে না, এখানে নারীদের সামান্যতম সুরক্ষা নেই, এখানে আইনের শাসন নেই, এখানে একটি ধ্বংসের রাজত্ব চলছে, এটাই প্রতিষ্ঠা করার প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তার আসল লক্ষ্য কী? আর বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে ধরে যেভাবে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে, সেই ধ্বংস হওয়া ইমেজের ক্ষতিপূরণ দুঃসাধ্য। 
সন্দেশখালিতে এখন যে মহিলারা বলছেন, সবটাই মিথ্যা, তাদের জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল, টাকা দেওয়া হয়েছিল, এটা বহু মানুষ বিশ্বাস করছে না। কিন্তু এই একই মহিলারা যখন ওই অভিযোগুলি করেছিলেন, তখন কিন্তু আজকের অবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করেছে। তখন মনে হয়েছিল এই নারীরা ঠিক বলছেন। কিন্তু সেই একই মানুষ যখন বিপরীত কথা বলছেন, তখন তাঁকে অবিশ্বাস করা হচ্ছে! কারণ কী? 
ভোটের আগে বলা হয় মানুষ ভোট দিতে পারে না, রিগিং হয়। বাংলার একটা বড় অংশের মানুষ ভিখারি। সরকারি অনুদান পেয়ে ভোট দেয়। আবার এই মানুষ যেখানে যেখানে শাসক দলকে হারিয়ে দেয়, তখন বলা হয়, এই তো, মানুষ শিক্ষা দিল! তাহলে আগে যে বলা হয়েছিল যে, মানুষ ভিখারি এবং নিজের ভোট নিজে দিতে পারে না? কোনটা ঠিক? 
সন্দেশখালির ঘটনা, এসএসসির ঘটনা অথবা অন্য যে কোনও অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি হতেই পারে। আবার সম্পূর্ণ মিথ্যাও হতে পারে। রাজনৈতিক এবং আইনি পন্থা রয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলছেও। সর্বোচ্চ আদালত সবটাই অবলোকন করছে এবং সেইমতো নির্দেশিকা দিচ্ছে। কিন্তু আমার পছন্দের রায় অথবা নির্দেশিকা হলে, সুপ্রিম কোর্ট খুব ভালো। আর অপছন্দের নির্দেশিকা হলে সুপ্রিম কোর্ট খারাপ, এই মনোভাবেব মতো চরম নির্বুদ্ধিতা আর আছে নাকি? আমরা সাধারণ মানুষ কেন অলক্ষ্যে কোনও না কোনও পক্ষ হয়ে যাচ্ছি? 
এসবের বাইরে সবথেকে বড় ক্ষতিকর যা হচ্ছে,সেটি হল বাংলার বদনাম। বাঙালি জাতির চরম অপবাদ। সন্দেশখালিতে যেটা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটাই নাকি বাংলার কালচার। অর্থাৎ বাংলাজুড়ে সারা বছর ধরে নাকি এরকমই হয়। এটাই সর্বভারতীয় স্তরে লাগাতার প্রচার হচ্ছে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ চিরন্তন সত্য। বহুকাল ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলায় কোনও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হলে সেটাকে সন্ত্রাসবাদী ঘটনা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে আসে জঙ্গি যোগের সন্ধান করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বলা হয়, বাংলা একটি অগ্নিস্তূপের উপর বসে আছে। জেলায় জেলায় শহরে শহরে নাকি বারুদের কারখানা। বিস্ফোরকের রমরমা। জঙ্গিরাজ্য। 
আমাদের প্রশ্ন হল, তৃণমূল শাসক দল। তার বিরুদ্ধে  আক্রমণ, অভিযোগ, তাকে সরকার থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা, এসব বিরোধী দল করবেই। করুক না। রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নির্মাণ ও বিনির্মাণে যে দল জয়ী হবে, যার প্রচার বেশি গ্রহণযোগ্য হবে, যার জনপ্রিয়তা বেশি, সে ভোটে জয়ী হবে। অন্যপক্ষ বহু চেষ্টা করেও পরাস্ত হবে। সব রাজ্যে এসব চলে। কিন্তু তার সঙ্গে বাংলার বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচারের কারণ কী? বাংলাকে বদনাম করার এই প্রয়াস কি নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতা দখলের জন্য? নাকি জাতি এবং রাজ্য হিসেবে বাঙালি ও বাংলাকে ক্রমেই কোণঠাসা করে দেশবাসীর চোখে হেয় প্রতিপন্ন করার একটি সূক্ষ্ম প্ল্যান কাজ করছে? 
অন্য রাজ্যেও অনেক ঘটনা হয়। কিন্তু সেইসব রাজ্য সম্পর্কে লাগাতার নেতিবাচক প্রচার, সেই সব রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত, সেইসব রা঩জ্যের শিক্ষা সংস্কৃতি সব ভুলুণ্ঠিত হয়ে গিয়েছে, ওইসব রাজ্যে ভুলেও যেন কেউ পা না বাড়ায়, এরকম পরিকল্পিত প্রচার আমরা কি দেখতে পাই? পাই না। গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলার অবস্থা সবথেকে খারাপ, বাঙালি এখন বিচ্ছিন্ন এক অন্ধকার দ্বীপে বাস করছে, এরকম একটি ভাবমূর্তি নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি রাজ্যে কিছুই ভালো নয়, সব খারাপ, এরকম হতে পারে? তৃণমূলকে খারাপ বলুন। তাদের হারানোর চেষ্টা করুন। না পারলে স্বীকার করবেন যে পারিনি। কিন্তু বঙ্গবাসীকে অন্য রাজ্যে গিয়ে, বিদেশে গিয়ে চরম লজ্জায় যাতে পড়তে হয়, সেই লক্ষ্যপূরণে অপবাদ দেওয়ার প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে কেন? 
আমরা যাকে ইচ্ছে ভোট দিতেই পারি। যাকে মনে করব আমাদের নিজেদের জন্য এবং রাজ্যের জন্য ভালো হবে, তাকেই গদিতে বসানো যেতেই পারে। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু লাগাতার রাজ্যের বদনাম সর্বভারতীয় স্তরে হলে আমাদের ভালো লাগছে? প্রচারের সময় আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে না? আমরা কি দেখবো না, প্রথমত কারা বাংলা এবং বাঙালির বিরুদ্ধে সামগ্রিক একটা নেগেটিভ ক্যাম্পেন চালাচ্ছে কয়েকটি ঘটনাকে সামনে নিয়ে। যেগুলো আবার পরে দেখা যায় মিথ্যা। আর দ্বিতীয়ত, কারা বাংলার এই বদনামে খুব খুশি হচ্ছে? দক্ষিণ ভারত কিংবা ওড়িশা। বিহার অথবা গুজরাত। মারাঠা কিংবা অসমিয়া। এমন কোনও রাজ্য অথবা জাতি আছে, যারা নিজেদের ভূমি এবং জাতিসত্ত্বার এই চরম ধারাবাহিক অপপ্রচার ও অসম্মান মেনে নেবে? এদের কারও সম্পর্কে কিন্তু এই স্তরের বদনাম করাও হয় না। কারণ বিপুল প্রত্যাঘ্যাত ও প্রতিবাদ হবে। হয়ও। অথচ আমাদের রা঩জ্যে এসে এসে এবং অন্য রাজ্যেও গিয়ে গিয়ে বাংলার বদনাম চলছে। আমাদের মাটি কি নরম? আমরা কেন নীরবে এই জাতি ও রাজ্যের অপপ্রচার সহ্য করে চলেছি? অবশ্যই রাজ্যে অনেক উদ্বেগজনক, লজ্জাজনক, বিপজ্জনক ঘটনা ঘটছে। যার প্রতিবাদ সঙ্গত। হচ্ছেও। কিন্তু গোটা বাংলা এবং বাঙালিই খারাপ হয়ে গিয়েছে? এই প্রচারও মেনে নিতে হবে? বাংলার ভাবমূর্তি যতটা খারাপ করে দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে? 
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
একনজরে
‘সকলের মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে’। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই লক্ষ্য নিয়ে ভেগান খিচুড়ি বিতরণ করে ‘গো ধার্মিক’ সংস্থা। এবার এই উদ্যোগের শামিল হলেন ব্রিটিশ ...

রাজ্যে তিনটি দফার নির্বাচন নির্বিঘ্নে মিটেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। এবার চতুর্থ দফাতেও সেই ধারা বজায় রাখতে মরিয়া রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দপ্তর। ...

কয়েক বছর ধরেই চায়ের বাজার ভালো নয়। এবার কি চা শিল্পে মরার উপর খাঁড়ার ঘা পড়তে চলেছে? তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন। দেশের ...

বকেয়া বেতন জমে কার্যত পাহাড়। অনিশ্চিয়তায় রায়গঞ্জ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন পুরসভার গাড়ি চালক ও সহযোগীরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬- পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন
১৬১২- মুঘল সম্রাট  শাহজাহানের  সাথে  মুমতাজের  বিয়ে হয়
১৮২৪- লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৮৫৭- দেশজুড়ে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৮৬৩- সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম
১৮৮২- ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্তের জন্ম
১৯০৫- সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের জন্ম
১৯০৮ - বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম
১৯৬২- স্বাধীনতা সংগ্রামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৮৩- বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়র মৃত্যু
১৯৮৫- রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রমথনাথ বিশীর মৃত্যু
১৯৯৪- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০০২- কবি কায়ফি আজমির মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭০ টাকা ১০৬.১৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮২,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। তৃতীয়া ৫৪/৩০ রাত্রি ২/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ১৪/২০ দিবা ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৫/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/২২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৪/১৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। দ্বিতীয়া প্রাতঃ ৫/৪৫ পরে তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫১। রোহিণী নক্ষত্র দিবা ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ১০/১২ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:29:20 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট রবীন্দ্র জাদেজা, চেন্নাই ১৬৯/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:28:55 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট শিবম দুবে, চেন্নাই ১৬৫/৬ (১৬.৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:23:11 PM

আইপিএল: ৫৬ রানে আউট মঈন আলি, চেন্নাই ১৩৫/৫ (১৪.২ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:06:29 PM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি মঈন আলির, চেন্নাই ১৩৪/৪ (১৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:03:13 PM