যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ডোমজুড় বিধানসভা এলাকার নারনায় প্রচার কর্মসূচি ছিল দীপ্সিতার। সেখানেই তিনি কল্যাণের উদ্দেশে এমপি’র চেয়ার কেড়ে নেওয়ার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘কল্যাণবাবুর কাছে আমার অনুরোধ, রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে মানুষ হওয়া খুব জরুরি। আমি ওঁকে ব্যক্তি আক্রমণ করিনি। যদি প্রশ্ন করতাম, ঝাড়খণ্ডের কোন কলেজ থেকে এলএলবি করেছেন? আদৌ সেই কলেজে কেউ পড়ে কি না? তাহলে ব্যক্তি আক্রমণ হতো। আমি তা করিনি। মিস্টার ইন্ডিয়া বলেছি কারণ ওঁকে এলাকায় দেখা যায় না।’
এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ পাল্টা বলেন, ‘দীপ্সিতা ভদ্র কবে হল? নোংরা রাজনীতি ওঁর প্রোডাক্ট। মুখে বলছেন ব্যক্তি আক্রমণ করি না, অথচ একাধিকবার ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। দীপ্সিতা বলেছেন, আমি নাকি চুরির টাকায় ছেলেমেয়েকে পড়িয়েছি। এটা তো ব্যক্তি আক্রমণই।’ ওকালতির ডিগ্রি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি চার দশকের প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। আমার কোন কোন মামলার জন্য বামফ্রন্ট সরকার হেরেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার জন্যই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চলে যেতে হয়েছে। আসলে আমার নাম না বললে ওর টিআরপি বাড়ছে না।’
অন্যদিকে, এদিন হাওড়ার শহর ও গ্রামে দাপটে প্রচার করলেন সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সকালে তিনি পোলগুস্তিয়া, ইসলামপুর, পাঁচলায় জনসংযোগ করেন। বিকেলে তাঁর শোভাযাত্রা ছিল হাওড়া ময়দানে। শরৎসদনের সামনে থেকে বৃষ্টি ভেজা বিকেলে পথ পরিক্রমা করেন তিনি। এই মিছিলে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত তিনি আসতে পারেননি। এদিন মূলত সাংগঠনিক কাজেই ব্যস্ত ছিল বিজেপি। রবিবার সাঁকরাইলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তুতি বৈঠক করেন তিনি। এলাকাভিত্তিক প্রচার করেছে তৃণমূলও।