Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি। ১৯৯১ সালের ২৪ জুলাই  ডঃ মনমোহন সিংয়ের এক ভাষণে ভারতের অর্থনীতির দিক বদল ঘটে গিয়েছিল। সেই স্মরণীয় ভাষণে তিনি ভিক্টর হুগোকে উদ্ধৃত করেন, ‘যে চিন্তার সময় উপস্থিত হয়েছে পৃথিবীর কোনও শক্তিই তাকে থামাতে পারবে না।’ এই বিবৃতি বা ভাষণগুলি থেকে নতুন শাসকদের অভিপ্রায় উচ্চস্বরে এবং স্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি বিবৃতি, সেটির উদ্গাতার আসল উদ্দেশ্যটি গোপনও করতে পারে। জাল মহাপুরুষরা মিথ্যে বিবৃতি দেন। কিছু বিবৃতি নরেন্দ্র মোদিেক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। যেমন—‘আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেব’, ‘আমি বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি সৃষ্টি করব’, ‘কৃষকদের আয় আমি দ্বিগুণ করে ছাড়ব’ প্রভৃতি। এগুলি নির্বাচনী ‘জুমলা’ হিসেবে হাসির খোরাকই হয়ে গিয়েছে। 
ভারতের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি—জাতীয় দল হিসেবেই গণ্য হয়। বিজেপির ইস্তাহার কমিটি তৈরি হয়েছে ৩০ মার্চ। অন্যদিকে, ৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহার। এই বিশেষ নিবন্ধে দুটি ইস্তাহারের তুলনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হাতে আছে যে কেবল কংগ্রেসের ইস্তাহারটিই! তাই আমি কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্যের তালিকা রাখছি, পাঠক এবং ভোটাররা তার ভিত্তিতে ইস্তাহার দুটির তুলনা করতে পারবেন। 
ভারতের সংবিধান
কংগ্রেস বলেছে, ‘আমরা আবারও বলছি যে, ভারতের সংবিধানই অন্তহীন যাত্রায় আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক এবং সহচর থাকবে।’ বিজেপি সংবিধান মেনে চলবে না কি তার আমূল সংশোধন করবে, তা জানার জন্য মানুষ উদ্বেগের সঙ্গে অপেক্ষা করছে। এক দেশ, এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি),  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (এটি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে) এবং অন্যান্য স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী ধারণার প্রেক্ষিতেই এই প্রশ্ন উঠেছে। সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ওয়েস্টমিনস্টার নীতিগুলি তারা মেনে চলবে কি না সেটি বিজেপির স্পষ্ট করা উচিত।
আর্থ-সামাজিক ও জাতি গণনা, সংরক্ষণ
কংগ্রেস তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তারা দেশব্যাপী আর্থ-সামাজিক এবং জাতি গণনা (সোশিও-ইকনমিক অ্যান্ড কাস্ট সেন্সাস) করবে। তারা সংবিধান সংশোধন করবে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার জন্য। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (ইডব্লুএস) জন্য চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি সমস্ত জাতি এবং সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য পরিমাপসহ তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কংগ্রেস একটি ডাইভার্সিটি কমিশন তৈরি করবে। মানুষের অধিকারের মতো বৃহত্তর ইস্যুতে, দুটি দলের কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? এর জবাবে বিজেপির উচিত তাদের অবস্থানের ধোঁয়াশা কাটিয়ে ফেলা এবং এই বিষয়গুলিতে তাদের উদ্দেশ্য সাফ সাফ জানিয়ে দেওয়া। 
সংখ্যালঘু
ভারতে ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু শ্রেণিরা রয়েছে। কংগ্রেস বলেছে তারা বিশ্বাস করে যে, ভারতের সমস্ত মানুষ সমানাধিকারের ভিত্তিতেই মানবাধিকার উপভোগ করবেন। তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণির আধিপত্যবাদ বা একনায়কত্বের কোনও স্থান নেই। বহুত্ববাদ এবং বৈচিত্র্যই ভারতের সারসত্য। কংগ্রেসের গায়ে ‘তোষণের’ তকমা সেঁটে দিয়েছে বিজেপি—এটি তাদের সুপরিচিত সংখ্যালঘু শ্রেণি বিরোধী অবস্থানের জন্য একটি সাংকেতিক শব্দ। বিজেপি কি সিএএ কার্যকর এবং ইউসিসি পাস করার ব্যাপারে তাদের সংকল্পটি ফের একবার জোরের সঙ্গে জানাবে? যেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘু শ্রেণিগুলি এই আইন দুটিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করে, তাই তারা বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের জন্য উদ্বেগসহকারে অপেক্ষা করছে।
যুব ও চাকরি
জনসংখ্যার জন্য ভারতের যে সুবিধাগুলি ছিল তা ক্রমে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সন্তোষজনক গড়ের চেয়ে নিম্ন বৃদ্ধির হার (৫.৯ শতাংশ), ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের (জিডিপির ১৪ শতাংশ) থম মেরে থাকার পরিস্থিতি, কাজে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের নিম্ন হার (৫০ শতাংশ) এবং ব্যাপক বেকারত্ব ( স্নাতকদের মধ্যে ৪২ শতাংশ) এজন্য দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে যে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে সেগুলি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। তারা আরও কথা দিয়েছে—(১) শিক্ষানবিশ অধিকার আইন (রাইট টু অ্যাপ্রেনটিসশিপ অ্যাক্ট) তৈরি করবে। (২) কর্পোরেটদের জন্য একটি কর্মসংস্থান-সংযুক্ত প্রণোদনা প্রকল্প (এমপ্লয়মেন্ট-লিঙ্কড ইনসেনিটভ স্কিম বা ইএলআই) রূপায়ণ করবে, তার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে নতুন চাকরির বিরাট সুযোগ। (৩) মূলধন জোগানোর মাধ্যমে, স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে প্রোমোট করার জন্য একটি ফান্ড স্কিমও নেবে কংগ্রেস সরকার। এগুলি তরুণদের মধ্যে শুরুতেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য বিজেপি-এনডিএ সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছিল না। অতএব এখানেই প্রশ্ন রাখতে চাই, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপি আরও আকর্ষণীয় কোনও পরিকল্পনা সামনে রাখতে পারবে কি না।
মহিলা
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মহিলারা অংশগ্রহণ করেন সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে। তাঁরা প্রচারের ভাষণগুলি শোনেন এবং সেসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হন। যতটুকু কানে আসছে বা দেখা যাচ্ছে, তা থেকে মনে হয়—কংগ্রেসের মহালক্ষ্মী প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি (প্রতিটি গরিব পরিবারকে প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা অনুদান), মনরেগায় শ্রমিকের  দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা, মহিলা ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবন এবং কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মহিলারা, এমনকী কম বয়সি মেয়েরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অন্যদিকে, বিজেপি তাদের ধর্মীয় (হিন্দুত্ব) আবেগের রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা
সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল বিজেপির স্বৈরাচার। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং ‘ভারত হল রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন’ এই যে সাংবিধানিক ঘোষণা—তাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিজেপি। তাদের এক জাতি, এক নির্বাচনের তত্ত্ব ভীষণ সন্দেহজনক। এই তত্ত্ব—এক জাতি, এক নির্বাচন, এক সরকার, এক দল ও এক নেতার পথ প্রশস্ত করবে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটি অধ্যায়ের উপর ১২টি পয়েন্ট রয়েছে। বিজেপি কি এগুলির কোনও একটিরও বিষয়ে সহমত হতে পেরেছে? সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী প্রতিশ্রুতি হল—আইন তৈরির কিছু ক্ষেত্রকে যৌথ তালিকা থেকে রাজ্যের তালিকায় স্থানান্তর করার ব্যাপারে ঐকমত্য স্থাপন। এই ১২টি পয়েন্টের ভিত্তিতে এবার বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষা হবে। 
যেসব বিষয় নিয়ে আমি ভাবিত, সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—সংবিধান, সংসদীয় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা এবং সাংবিধানিক নৈতিকতার প্রশ্নে যুযুধান দলগুলির প্রতিশ্রুতি। আমার ভোট সেই প্রার্থীরই পক্ষে থাকবে যিনি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে এই নীতিগুলিকে সমর্থন করবেন এবং সেগুলির পালনে যত্নবান হবেন। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
15th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...

আর মাত্র চারদিন বাদে ভোটগ্রহণ। শেষ মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে তামিলভূমে। ভোটারদের চোখ টানতে ও মনে পেতে নিত্য নতুন অদ্ভুত উপায়ে প্রচারে নামছেন প্রার্থীরা। এই জাল্লিকাট্টুর ...

 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...

পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM