Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। আর এখন? আইএসএফের গুঁতোয় সেলিমের প্রাণ ওষ্ঠাগত। মুক্তির পথ, ‘অধীরং শরণং গচ্ছামি’। বাংলার অন্যত্র কংগ্রেস-সিপিএম জোট নিয়ে জট থাকলেও মুর্শিদাবাদে নেই। উনিশের ভোটে চতুর্থ স্থানে থাকা সিপিএমকে মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটি ছেড়েছে কংগ্রেস। জোট নিয়ে অধীরবাবুর এই ‘উদারতা’ আগে কেউ দেখেনি। তবে এটা ‘লিমিটেড টাইম অফার’। কেবল চব্বিশের লোকসভা ভোটের জন্য ‘আম’ আর ‘দুধ’ মিশেছে। তাই আইএসএফ আপাতত ‘আঁটি’। 
বাংলায় ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রতিটি নির্বাচনে বামেদের শক্তি কমেছে। বারবার স্লোগান দিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করার আশায় কখনও ‘বুর্জোয়া’ কংগ্রেসের সঙ্গে, কখনও ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার চেষ্টা করেনি। কখনও নীতির সঙ্গে, কখনও আদর্শের সঙ্গে সমঝোতা করায় বামপন্থায় বিশ্বাসী মানুষজন সিপিএমের পাশ থেকে সরে গিয়েছে। বাংলায় ‘শূন্য’ তারই পরিণতি।
একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাঙার আশায় আইএসএফকে তোল্লা দিয়েছিল সিপিএম। শরিকি আপত্তিকে আমল দেয়নি। হাত মিলিয়েছিল আইএসএফের সঙ্গে। সেলিম সাহেবরা বেড়ালকে ‘বাঘ’ বানাতে গিয়েছিলেন। এখন সেই বাঘই ঘাড় মটকাতে চাইছে। তাই ‘বাঘ’কে ‘পুনঃ মুষিকঃ ভবঃ’ করার চেষ্টা।
চব্বিশের নির্বাচন বাংলায় সিপিএমের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ২০১১ সালের নির্বাচনটা বামেদের কাছে খুব কঠিন ছিল। বামেদের তাড়া করছিল ক্ষমতা হারানোর ভয়। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, বামেরা ক্ষমতা থেকে যেতে চলেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হওয়ায় তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচন সিপিএমের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ভোট ফেরাতে না পারলে বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা আর থাকবে না। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের কফিনে শেষ পেরেকটা এবারই পোঁতা হয়ে যাবে।
সিপিএম নেতারাও সেটা জানেন। সেই 
জন্যই এবার নির্বাচনে সম্ভবনাময় এক ঝাঁক তরুণকে প্রার্থী করেছে। পাশাপাশি রাজ্য সম্পাদক মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পার্টির একাংশের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। তাদের বক্তব্য, দল এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থা দ্বারা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে জনমত সংগঠিত করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারতেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু তিনি প্রার্থী হওয়ায় ৭মে পর্যন্ত একটি কেন্দ্রেই নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেললেন। 
সেলিম সাহেব প্রার্থী হওয়ায় লঙ্ঘিত হয়েছে 
‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি। বিরোধীদের কটাক্ষ, মহম্মদ সেলিম ‘পরিযায়ী প্রার্থী’ হয়ে গিয়েছেন। জেতার ক্ষীণতম সম্ভাবনা থাকলেই তিনি 
সেখানে প্রার্থী হওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। 
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রানিং এমপি অবস্থায় তিনি হেরে গেলেন। তারপর আর উত্তরবঙ্গের দিকে ফিরেও তাকালেন না। একুশে হুগলির চণ্ডীতলার আসনটি বামেদের ‘পজিটিভ’ বলে মনে হল। কারণ শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মুসলিম ভোটের লোভে ঝাঁপিয়ে পড়ে আইএসএফের সঙ্গে জোট করলেন। তিনি সেখানে প্রার্থীও হলেন। কিন্তু বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল না। 
২০২২ সালে দলের কঠিন সময়ে তাঁকে রাজ্য সম্পাদক করা হল। সূত্রের খবর, তিনি এই দায়িত্ব নেওয়ায় খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। তাঁকে একপ্রকার জোর করেই রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছিল। তখন অনেকে ভেবেছিলেন, পার্টির রাজ্য সম্পাদক হয়ে যাওয়ায় তিনি আর ভোটে দাঁড়াবেন না। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ফের তিনি প্রার্থী। 
প্রশ্ন উঠছে, সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেও কি তাহলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ‘ডানপন্থী ঝোঁক’ ঢুকে গিয়েছে? তা না হলে সেলিম সাহেব রাজ্য সম্পাদক হয়েও ফের প্রার্থী হতে গেলেন কেন? তিনি লোকসভায় দলের ডেপুটি লিডার ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। এখন তিনি রাজ্য সম্পাদক। তাঁর রাজনৈতিক জীবন অনেক লম্বা। প্রচুর অভিজ্ঞতা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি মন দিতে পারতেন। তা না করে তিনি প্রার্থী হয়ে গেলেন। তাঁর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টা নিয়ে দলের নিচুতলায় জোর চর্চা চলছে।
গত লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূল পেয়েছিল ৬ লক্ষ ৪ হাজারের মতো ভোট। কংগ্রেস প্রায় ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার, বিজেপি প্রায় ২লক্ষ ৪৮ হাজার এবং সিপিএম প্রায় ১লক্ষ ৮০ হাজার ভোট পেয়েছিল। অর্থাৎ সিপিএম চতুর্থ। তা সত্ত্বেও সেলিম সাহেব এমন একটা আসনে প্রার্থী হতে গেলেন কেন? অনেকেই বলছেন, রীতিমতো অঙ্ক কষে তিনি এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। কী সেই অঙ্ক?
মুর্শিদাবাদ আসনে কংগ্রেস আর সিপিএমের উনিশের ভোট যোগ করলে সংখ্যাটা সাড়ে পাঁচ লক্ষ টপকে যাচ্ছে। এভাবে জয়ী প্রার্থীর কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার আসন বাংলায় আর নেই। সেলিম সাহেবের অঙ্কটা এটাই। দলের না হোক, তাঁর ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ। তবে, অধীরবাবু না চাইলে এই সমঝোতা কিছুতেই হতো না। মুর্শিদাবাদ সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়াটা ‘উদারতা’ নয়, অধীরবাবুর অঙ্ক।
অতীতে অধীর চৌধুরী কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও জোট মানেননি। গোঁজ প্রার্থী দাঁড় করিয়ে জিতিয়ে এনেছেন। সেই অধীরবাবু বিনা বাক্যব্যয়ে গতবার চতুর্থস্থানে থাকা সিপিএমকে আসনটি ছেড়ে দিলেন কেন?
অধীর চৌধুরী বহরমপুর কেন্দ্রের পাঁচবারের সাংসদ। কিন্তু একুশের ভোটে তাঁর কেন্দ্রের একটি বিধানসভাতেও কংগ্রেস জেতেনি। এমনকী, একদা তাঁর খাসতালুক বলে পরিচিত বহরমপুরেও নয়। বিজেপি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এই অবস্থায় মুসলিম ভোট টানতে না পারলে তাঁর লড়াইয়ে টিকে থাকাই কঠিন। তাই কোলাকুলিটা একেবারে সেয়ানে সেয়ানে। 
তবে, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হলেও স্বস্তিতে নেই সেলিম সাহেব। কারণ যাঁদের সামনে রেখে তিনি ‘কাঁটা’ তোলার প্ল্যান করেছিলেন সেই আইএসএফই এখন তাঁর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দফায় দফায় অনুরোধ সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেনি আইএসএফ। তাতে সিপিএমের আম ও ছালা দুই-ই যাওয়ার অবস্থা। এরপর আর তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাঙার জন্য আইএসএফের হাত সিপিএম ধরতে নিশ্চয়ই যাবে না। তবে এব্যাপারে ‘গ্যারান্টি’ দেওয়া মুশকিল। কারণ যে অধীর চৌধুরীকে জোড়া খুনে অভিযুক্ত করে জেলে ভরেছিল, বাঁচার জন্য এখন তাঁরই হাত ধরছে সিপিএম। এই জন্যই বলে, রাজনীতি হল সম্ভাবনার শিল্প। 
সেলিম সাহেব ভালো বক্তা, দক্ষ রাজনীতিবিদ এবং প্রার্থী হিসেবেও বেশ ওজনদার। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে বামেদের জন্য মুর্শিদাবাদ সবচেয়ে ‘ভালো আসন’। বেছে বেছে সেই আসনেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস আর সিপিএমের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে ঠিকই। তবে তাতে উভয় দলের ভোট এক জায়গায় যাবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই জেলার অলিতে গলিতে রয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের সংঘর্ষের রক্তাক্ত ইতিহাস। দুই দলের লড়াইয়ে বহু মা সন্তানহারা হয়েছেন, অনেকের জীবনে নেমে এসেছে অকাল বৈধব্য। সেই সব কর্মী সমর্থক শীর্ষ নেতৃত্বের স্বার্থে হওয়া বোঝাপড়াকে কি এতটা গুরুত্ব দেবেন? সব দ্বন্দ্ব, ক্ষতি ভুলে ‘শত্রু’ দলের প্রতীকে বোতাম টিপবেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তবেই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের লড়াই হবে টানটান।
ব্যক্তিগত রেকর্ড অপেক্ষা দলকে জেতানোই ক্রিকেট টিমের আদর্শ ক্যাপ্টেনের লক্ষ্য হয়ে থাকে। তিনিই প্রকৃত ক্যাপ্টেন যিনি সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও টিমকে জেতানোর জন্য ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে পারেন। সেলিম সাহেবের সামনে সেই সুযোগটা ছিল। কারণ রামে যাওয়া ভোট বামে ফেরাতে পারলেই হাল ফিরত লালের। হাল ফেরানোর মূল দায়িত্ব তাঁরই। কিন্তু তিনিই হয়ে গেলেন প্রার্থী। নজরটা ব্যক্তিগত রেকর্ডেই থেকে গেল।
অনেকেই বলছেন, সেলিম সাহেব জিতলে শূন্যের গেরো থেকে সিপিএম মুক্তি পাবে, তিনি ফের সাংসদও হবেন। কিন্তু রামের ভোট বামে ফেরাতে না পারলে? দলকে গ্রাস করবে এক অসীম শূন্যতা। যার দায় সেলিম সাহেব কিছুতেই এড়াতে পারবেন না।
13th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...

বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

বাগদার বিজেপি নেতাদের ফোন করে ভোট চাইছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, তিনি বলছেন, ‘আমাকে জিতিয়ে দিন। জিতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসব।’ ...

বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM