Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। আমাদের কথার ভিত্তিতে কেউ যখন বলে, হ্যাঁ, এটা তুমি ঠিক বলেছ, তখন সেটা শুনতে ভালো লাগে।  কিন্তু আমাদের মতের বিরুদ্ধতা আমরা তৎক্ষণাৎ পছন্দ করি না। তাই ক্রমেই তর্কবিতর্ক বৃদ্ধি পায় এবং সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সেটি পর্যবসিত হয় গোপন তিক্ততায়। 
আর আমরা কী দিতে ভালোবাসি? মতামত, পরামর্শ এবং উপদেশ। আমাদের মনে এক গোপন উদ্দীপনার জন্ম হয়, যখন কেউ আমাদের কাছে জানতে চায়, এ বিষয়ে তোমার কী মত? অথবা একটা সমস্যায় পড়েছি, তোমার পরামর্শ চাই। এবং সর্বোপরি যে কোনও পরিস্থিতিতেই উপদেশ প্রদান করলে এক আত্মসন্তোষ হয়। এই প্রবণতা নতুন নয়। তবে সমাজে পরিচিত বৃত্তের বাইরে এটি তেমন প্রকট ছিল না। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এই প্রবণতা প্রকাশ্যে এসেছে। তাই দেখা যায়, যে কোনও ইস্যু সমাজে উত্থাপিত হলেই, আমরা আর নীরবে থেকে অপেক্ষা করি না যে, আমাকে প্রশ্ন না করা হলে, অথবা কেউ জানতে না চাইলে, আমি মতামত দেব না। আমরা এখন আর তোয়াক্কা করি না যে, কে কী জানতে চাইল অথবা চাইল না। নিজেরাই ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের মতামত উপযাচক হয়ে বলে দিই। কেন? কারণ, এক সময় বাঙালি মেধা নিজেকে আড়ালে রাখতে স্বচ্ছন্দ ছিল। এখন প্রকাশের যুগ। যে যত বেশি কথা বলবে, সে তত বেশি সামাজিক এবং স্মার্ট। 
আর এই প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সবথেকে বড় ভুল হল, আমরা ধরেই নিই আমরা যা ভাবছি এবং যা বলছি এটা সঠিক। ‘আমি ঠিক’ এটা নিশ্চিত জেনেই সব তর্কে প্রবেশ করি। ‘আমি ভুল’ এটা প্রমাণ হলেও দ্রুত মেনে নিতে পারি না। তখন অন্য যুক্তি দিয়ে নিজের ঠিক হওয়া প্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করি। যে কোনও ইস্যুতে ‘আমি ঠিক’ অর্থাৎ আমি যে মতামত দিচ্ছি সেটাই ঠিক, এটা কে ঠিক করে দিল? আমরা আর নিজেদের মতামতকে অর্থাৎ নিজেকেই ক্রস চেক করি না। আমরা জানি যে, আমরা ঠিক!
এই মনস্তাত্ত্বিক সর্বজনবিদিত বৈশিষ্ট্যগুলি আরও একবার মনে করার কারণ হল, লোকসভা ভোট এসেছে। আমাদের রাজ্যে ভোট এলেই অসংখ্য নতুন নতুন থিওরি, ফর্মুলা, বিশ্লেষণ কিংবা মনোভাব জানতে পারা যায়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, আমাদের রাজনৈতিক চর্চায় প্রবলভাবে ইতিহাস প্রবেশ করেছে। এ ব্যাপারে বর্তমান কেন্দ্র সরকারে পরিচালক এবং শাসকদলের অবদান সবথেকে বেশি। তাদের প্রধান নেতার অনুকরণ করে বাকিরাও একটি তত্ত্ব স্থাপনের প্রাণপণ চেষ্টা করেন যে, তাঁদের পূর্বসূরিরা ভুল। তাই ভারতের সর্বনাশ হয়েছে। তাঁরা এসে সেই ভুলগুলো ঠিক করছেন। মানুষের সাধারণ স্নায়ুধর্ম অনুযায়ী তাঁরাও যথারীতি সবথেকে বেশি পছন্দ করেন টাকাপয়সা পেতে (ইলেক্টোরাল বন্ড ইত্যাদি), প্রশংসা পেতে এবং সমর্থন পেতে। প্রশংসা অর্থাৎ সারাক্ষণ বলতে হবে এটা অমৃতকাল। সমর্থন, অর্থাৎ তাঁদের সব সিদ্ধান্তই  ঠিক এটা মেনে নেওয়া। আর তাঁরা সবথেকে বেশি যা দিতে পছন্দ করেন তাও ওই আবহমানের ধর্ম। মতামত, উপদেশ এবং পরামর্শ। 
তাই আমরা তাঁদের উপদেশ পেয়েছিলাম ব্যালকনিতে থালা বাজানো, ঘরের আলো রাত ৯টায় নিভিয়ে দিয়ে প্রদীপ নিয়ে বারান্দায় দাঁড়ানো এবং পুরনো নোটের মায়া কাটিয়ে নতুন নোট নেওয়ার জন্য পাঁচ সাত ঘণ্টা নোটবদলের লাইনে দাঁড়ানোর।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সিরাজউদ্দৌলা বনাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার একটি তাড়না নিয়ে প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে। ভরকেন্দ্র কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের এক লোকসভার প্রার্থী। প্রশ্ন উঠছে, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র যেহেতু সিরাজের বিরুদ্ধপক্ষীয়দের দলেই যোগ দিয়েছিলেন এবং সেক্ষেত্রে পরোক্ষে মিরজাফর তথা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষাবলম্বী হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তাঁকে। সুতরাং এক্ষেত্রে তাঁর সেই অবস্থান অন্যতম বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে। অর্থাৎ লোকসভার বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সপক্ষে কৃষ্ণচন্দ্রের বংশপরম্পরার জয়গান গাওয়া আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য? এই প্রশ্ন নিয়েই তর্ক বিতর্ক! 
আবার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পক্ষাবলম্বন করে ১৭৫৭ সালের জুন মাসের যে যুদ্ধ পরবর্তী ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বীজ বপন করেছিল, সেটাকে সমর্থন করার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, সিরাজ অত্যন্ত অযোগ্য এবং অপদার্থ শাসক ছিলেন। অত্যাচারী এবং দুর্বিনীত। তাই তাঁর হাতে বাংলার মসনদ থেকে গেলে অর্থাৎ ব্রিটিশ না এলে সর্বনাশ হয়ে যেত! তাছাড়া পরবর্তীকালে প্রমাণ হয়েছে ব্রিটিশরা প্রচুর উপকার করেছে ভারতের ও বাঙালির। আবার অন্য পক্ষের যুক্তি,  ব্রিটিশদের হাতে ভারতকে তুলে দেওয়া তো ২০০ বছরের পরাধীনতায় ভারতকে ঠেলে দেওয়া!  
ইতিহাসের কোনও একটি ব্যাখ্যা হয় না। বিশ্লেষণও তাই। আবেগ এবং পক্ষপাত সরিয়ে রেখে বিচার করলে ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি অনুধাবন করা সহজ হয়। সিরাজ যে অতি দুর্বিনীত এবং অত্যাচারী ছিলেন, কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর নিজের আত্মীয় মুঘল আমলের সবথেকে কৃতবিদ্য ইতিহাসকার গুলাম হোসেন খানই হোক অথবা সমকালীন এক ফরাসি সামরিক প্রধান জঁ লঁ, দুজনেই নিজেদের গ্রন্থে সিরাজের উদ্ধত চরিত্র সম্পর্কে লিখে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গ টেনে এনেই তাঁকে সরিয়ে ব্রিটিশ রাজ স্থাপনের পক্ষে মতামত প্রকাশ করার একটি প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে এখন আলোচনায়। 
ঠিক এখানেই ভুল হবে যদি এরকম সরলীকরণের ইতিহাসকে দেখা হয়। কারণ, সিরাজকে সরিয়ে যাদের আনা হয়েছিল, সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে লুট করেছে প্রথম দিন থেকেই।  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর একের পর এক দুর্ভিক্ষ শুরু হয় বাংলায়। ১৭৭০ সালের দুর্ভিক্ষকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বলা হয়। ১৮৬৬ সালের দুর্ভিক্ষ কোনও অংশের কম নয়। এবং ১৯৪৩! তিনটি দুর্ভিক্ষই সম্পূর্ণ প্রশাসনিক গাফিলতি এবং উপেক্ষার কারণে। 
লক্ষ লক্ষ বাঙালির মৃত্যু হয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং পরে ব্রিটিশ শাসনকালে। সিরাজের ঠাকুরদা আলিবর্দী খানের আমলে বাংলা কেমন ছিল? মুর্শিদাবাদের একটি গঞ্জের বাজারেই বছরে সাড়ে ৬ লক্ষ টন চালের পসরা হতো। চিনি, আফিম এবং নীলের রপ্তানি শিখরে ছিল। ১৩ লক্ষ তাঁতি ছিল বস্ত্র নির্মাণক্ষেত্রে। ১৭৫৩ সালে বাংলায় তাল তাল সোনা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেত প্রায় বিনা প্রহরায়। এহেন মুর্শিদাবাদে মাত্র অনাবৃষ্টি আর খরার জেরে হাজার হাজার মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয় কীভাবে মাত্র ১৭ বছরের মধ্যে? হয়। কারণ, ঠিক যে বছরে দুর্ভিক্ষ চলছে, সেই সময় দু বছরে  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রেকর্ড রাজস্ব পাঠিয়েছিল লন্ডনের অফিসে। ১৭৭১ সালে ১০ লক্ষ পাউন্ড পাঠানো হয় লন্ডনে কোম্পানির পক্ষ থেকে।
এবার তেতাল্লিশ! ১৯৪১ সালের হিসেবে দেখা যায়, বাংলায় ৪৮ কোটি মণ ধান এক বছরে উৎপাদিত হতো। যদি সকল বঙ্গবাসীকে ভাত জোগাতে হয় তাহলে দরকার ছিল ৫৪ কোটি মণ। বার্মা থেকে আমদানি করা হতো ঘাটতি মেটাতে কিছু। আবার রপ্তানিও করতে হতো। কমবেশি তাই ঘাটতি থাকতই। কিন্তু প্রথম থেকেই ব্রিটিশ সরকার কৃষির উন্নতি আর উৎপাদন বাড়ানোর কোনও প্ল্যানই নেয়নি। বাংলায় ১৯৪০ সালে ৭০ লক্ষ টাকা কৃষিতে বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে সেটা হয়েছিল ৫১ লক্ষ টাকা। অথচ সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৪ কোটি টাকা। 
১৯৪১ সাল থেকে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পার্ল হারবারে জাপানি আগ্রাসনের পর জাপানের ভারত আক্রমণের জেরে পূর্ব ভারতে কতজনের মৃত্যু হয়েছিল? ৮১৬ জন। আর ১৯৪৩ সালের ১৬ আগস্ট থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শুধু কলকাতার রাস্তায় অনাহারে কত বাঙালির মৃত্যু হয়? ৯৫০০!
মুসলিম শাসনের বহু অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বাঙালিকে। আবার মারাঠা বর্গীরা এসে দফায় দফায় বাংলাকে শ্মশান করে দিয়েছে গণহত্যা আর লুণ্ঠন করে। তারা হিন্দু ছিল! আধুনিক শিক্ষা, আধুনিক সভ্যতা এবং আধুনিক বিজ্ঞান তথা নবজাগরণের অন্যতম সহায়ক হয়েছিল ব্রিটিশদের শিক্ষা ও শাসনব্যবস্থা। আবার সেই ব্রিটিশের উপেক্ষা এবং অত্যাচারী ভূমিকায় দুর্ভিক্ষ কিংবা চিকিৎসাহীনতায় লক্ষ লক্ষ বাঙালির মৃত্যু হয়েছে। সিরাজ অত্যাচারী ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আরও বড় লুটেরায় পরিণত হয়। 
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত আনন্দে মেতে উঠেছিল। অথচ ঠিক সেই সময় বাঙালির নামে নতুন বিশেষণ সৃষ্টি হয়েছে—উদ্বাস্তু! সুতরাং, ক্ষমতায় যেই থাকুক! সর্বনাশ হয়েছে বাঙালিরই! যুগে যুগে! 
05th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
একনজরে
বাগদার বিজেপি নেতাদের ফোন করে ভোট চাইছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, তিনি বলছেন, ‘আমাকে জিতিয়ে দিন। জিতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসব।’ ...

আর মাত্র চারদিন বাদে ভোটগ্রহণ। শেষ মুহূর্তে প্রচার তুঙ্গে তামিলভূমে। ভোটারদের চোখ টানতে ও মনে পেতে নিত্য নতুন অদ্ভুত উপায়ে প্রচারে নামছেন প্রার্থীরা। এই জাল্লিকাট্টুর ...

বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

পুরী থেকে নন্দকুমার আসার পথে ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। মৃতদের মধ্যে চারজন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM