Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’ ঢাকের বোল পাল্টে ফেলার কারণ আজ আর গোপন নেই। তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ জেনে গিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রাখেননি। মানে তিনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তাঁর মতো সম্মাননীয় ব্যক্তি ‘মিথ্যে’ বলেছেন বলাটা নাকি শিষ্টাচারসম্মত নয়, তাই বলতে হচ্ছে—তিনি বারবার ‘অসত্য’ বলেছেন। একই শাস্ত্রবাক্য মেনে বলতে হচ্ছে—মানুষ ‘প্রতারিত’ বোধ করছে, তিনি ‘প্রতারণা’ করেছেন বলা হচ্ছে না। 
বছরে দু’কোটি চাকরি এবং প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমার প্রতিশ্রুতির গায়ে শ্যাওলা জমে গিয়েছে। ওই নোংরা আর ঘাঁটেন না মোদি। এবার বাংলার মানুষের কাছে তাঁর গ্যারান্টি, তিন হাজার কোটি টাকা ফেরাবেন। নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি ওই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। সংশ্লিষ্ট মামলাগুলিতে যাঁরা প্রতারণার শিকার টাকাগুলি তাঁদেরই ফেরাতে চান প্রধানমন্ত্রী। এজন্য তাঁর সরকার আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। বলিহারি, মোদির প্রতিশ্রুতি (থুড়ি, গ্যারান্টির গ্যারান্টি)!  
মোদি সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগানে বাজার মাত করে চলেছে। স্লোগানটি থেকে ভোটের ফায়দা তুলতে অতিতৎপর এখন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। আর এই আবহেই ৬ এপ্রিলের কাগজে পড়া গেল এক মেধাবী ছাত্রীর মর্মান্তিক কাহিনি। গণধর্ষিতা হওয়ার ‘অপরাধে’ তাকে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসতে দেয়নি তার স্কুল! ঘটনাটি মোদির সাধের ডাবল ইঞ্জিনে চলা রাজস্থানের আজমিরের। সিদ্ধান্তের সপক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই, বেশিরভাগ অভিভাবক মেয়েটির স্কুলে আসা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তাই তাকে বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দেয় তারা। মেয়েটিও মেনে নিয়েছিল স্কুলের ফতোয়া। অতঃপর বোর্ডের পরীক্ষা চলে এলে তাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সে আর তার স্কুলের পড়ুয়া নেই। টানা চারমাস অনুপস্থিতির কারণেই তার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে! এমন জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কী শাস্তি হল, এখনও জানা যায়নি। উল্লেখ্য, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় মেয়েটি ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। সুখের কথা এই যে, সমস্যাটি গোচরে আসার পর মেধাবী ছাত্রীটির শিক্ষাজীবন বাঁচাতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে শিশুকল্যাণ কমিশন।  
প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দশবছর ধরে ট্রেলার দেখিয়েছেন। এবার ভোট দিলে পুরো এবং আসল সিনেমাটি দেখাবেন তিনি! কিন্তু ট্রেলার দেখিয়েই কি মানুষকে যথেষ্ট ক্লান্ত, বিরক্ত, ভীত-সন্ত্রস্ত করে দেওয়া হয়নি? এরপর মানুষ পুরো সিনেমা 
দেখতে চাইবে কোন আনন্দে ও কীসের ভরসায়? বরং যে দীর্ঘ অমূল্য সময়টা নষ্ট হয়েছে তাঁর চক্করে পড়ে, তার জন্য আপশোস হচ্ছে অনেক, কিন্তু হারানো দিনগুলি ফেরত পাওয়া আর সম্ভব নয়। মানুষের হাতে এখন এটুকুই আছে যে, ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করবে না।   
ঢের হয়েছে, টাকার লোভ আর দেখাবেন না মোদি। মানুষ আর টাকা বা অর্থ চায় না। মানুষ এই আস্থা ফেরত পেতে চায় যে—সিবিআই, ইডি, এনআইএ, এসএফআইও’র মতো তদন্তকারী এজেন্সিগুলি তাদের সাংবিধানিক সত্তা মেনেই কাজ করে। তাদের স্বশাসন কেউ কেড়ে নিতে পারেনি, তারা শাসক দলের আজ্ঞাবহ দাসমাত্র নয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কখনও রাজ্য ভিত্তিক তদন্তকারী সংস্থাগুলির শত্রু তো নয়ই, এমনকী প্রতিযোগীও নয়, বরং সহযোগী সংস্থা। তারা সমন্বয় রেখে 
কাজ না করলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধজয় অসম্ভব। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে মুড়ি মুড়কির মতোই! কিন্তু দীর্ঘ 
অপেক্ষার শেষে দেশজুড়ে হতাশার সঙ্গে এটাই দেখা যাচ্ছে যে, এজেন্সগুলি সময়মতো চার্জশিটই পেশ করতে পারছে না কোর্টে। ফলে অনেক প্রকৃত অপরাধীও বেকসুর খালাস হয়ে যাচ্ছে দিনের 
শেষে। বিচারকে এইভাবে প্রহসনে পরিণত করার দায় তবে কার?   
মানুষ এই ভরসা দাবি করে যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই), নীতি আয়োগ, ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস (এনএসএসও), আয়কর (আইটি) দপ্তর, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) প্রভৃতির উপর বাইরে থেকে কেউ 
ছড়ি ঘোরায় না। অথচ সরকারের দোষত্রুটি বা ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উপর্যুক্ত সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ সামনে এসেছে একাধিকবার। এই নীতি কোন ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়তে 
সক্ষম, এই প্রশ্ন উঠবেই। 
কাম্য পরিস্থিত এটাই যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে না সরকার বা বিরোধী কোনও পক্ষই। আদালতের রায়ের অপব্যাখ্যা হয় না কিংবা বিচারপতি বা বিচার বিভাগের মুণ্ডপাত করা হয় না রায় বিরুদ্ধে গেলেও। আমরা লক্ষ করি, বিচার বিভাগের এই স্বাধীন 
এবং সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সত্তা বজায় রাখতে ওই প্রতিষ্ঠানকে নিরন্তর লড়াই করে যেতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে স্বয়ং দেশের প্রধান বিচারপতিই বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে একথা মনে করিয়ে দিতে। শুধু সরকারকেই নয়, বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত সকলকেও (বিচারপতি, আইনজীবীসহ) সতর্ক করে দিচ্ছেন তিনি।  
মানুষ এই আস্থা চায় যে, রাজভবনগুলি কেন্দ্রীয় শাসক দলের পার্টি অফিসের মতো আচরণ করবে না। রাজভবনের শীর্ষকর্তাটি স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং সুষ্ঠুভাবে রাজ্য সরকার পরিচালনার সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন। রাজ্যের মানুষের অভাব অভিযোগ বঞ্চনার দিকগুলি তিনি নিয়মিত দিল্লির কর্তাদের গোচরে আনবেন এবং তাঁরই মাধ্যমে দ্রুত সুরাহার ব্যবস্থা হবে। রাজ্য সরকারকে বাগড়া দেওয়া কিংবা রাজ্যের শাসক দলকে ‘ম্যালাইন’ করা রাজ্যপালের দায়িত্ব কর্তব্য নয়। তিনি এইভাবে কেন্দ্রীয় শাসক দলের রাজনৈতিক লাভালাভ বৃদ্ধির ব্রত পালন করলে রাজ্যের মানুষ তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত’ ভাবতেই পারে। প্রশ্নও উঠবে, রাজ্যের মানুষের টাকায় রাজভবন নামক শ্বেতহস্তীশালাগুলি রাখার কী প্রয়োজন?
সবশেষে বলতে হয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কথা। কমিশনের কাছে পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাই কাম্য। কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের কোনও কোনও জায়গা থেকে—’মোদির কমিশন’ গোছের তির্যক মন্তব্যও কানে আসছে! ভোটগ্রহণের আগেই, একটি মানুষেরও মনে এমন অনাস্থার সঞ্চার কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক। নির্বাচন কমিশনের উপর মোদির পার্টি কোনওরকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে না, এই আস্থাটা এই মুহূর্তে ভীষণ জরুরি। গণতন্ত্র এবং সংবিধান আমাদের বহু সাধনার ধন। এই দুটি অক্ষত রাখার গুরুদায়িত্ব এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপরেই ন্যস্ত।     
মানুষের আস্থা অর্জনে মন দিন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে তা ফেরানো বেশ কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। আপনার সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। এই সরকার আস্থা ফেরানোর জায়গায় আর নেই। আস্থা ফেরাবার শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ সাধনায় আপনার পার্টিকেই মন দিতে হবে এখন।
10th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে।  বিশদ

লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
বাজারে ‘নিও ভারত ল্যাটেক্স’ নামে নতুন রং নিয়ে এল এশিয়ান পেন্টস। তাদের দাবি, এই রংয়ে উন্নত ও বিশেষ পলিমার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রংয়ের ...

যিনি দত্তক নেওয়া গ্রামের উন্নয়ন করতে পারেননি, গোটা লোকসভা এলাকার উন্নয়ন করবেন কীভাবে! বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ...

বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...

 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM