Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভাড়াটে সেনা নিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না, জয়ের জন্য লাগে আবেগ
তন্ময় মল্লিক

লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির সাফল্যকে অনেকেই সুনামির সঙ্গে তুলনা করেছেন। গেরুয়া ঝড়ে আসমুদ্রহিমাচল বিরোধীরা কার্যত ধুয়েমুছে সাফ। জাতীয় রাজনীতিতে শাসক দলের এমন বিধ্বংসী চেহারা মানুষ বহুদিন প্রত্যক্ষ করেনি। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের ‘জোড়া ফলা’য় ছিন্নভিন্ন হয়েছে বিরোধীদের সব প্রতিরোধ। সুনামির চেয়েও ভয়ঙ্কর, আইলা, ফণীর চেয়েও বিধ্বংসী সেই দাপটে কেঁপেছে লড়াই ও আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৈরি ‘মা মাটি মানুষে’র সরকারের ভিত। ঝড়ে পাওয়া ১৮টি আসনে বলীয়ান গেরুয়া শিবিরের চোখে সরকার বদলের স্বপ্ন—মিশন-২০২১। লক্ষ্য স্থির করা এবং টার্গেট হিট করা ‘জোড় ফলা’র অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে। তবে, সাফল্য লাভই যখন শেষ কথা হয়ে দাঁড়ায়, তখন পথ গুরুত্বহীন হয়। তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে দ্বন্দ্ব, সংঘাত। আর সেটাই বিজেপির ‘মিশন-২০২১’ এর পথে অন্তরায় হতে পারে।
ঝড় বিধ্বংসী হলেও তা ক্ষণস্থায়ী। তবে, থেকে যায় ঝড়ের প্রভাব ও স্মৃতি। যে কোনও বিধ্বংসী ঝড়ের পর মিস্ত্রির চাহিদা আকাশ ছোঁয়। ধ্বংসস্তূপ সরানো থেকে পুনর্নিমাণ সব ক্ষেত্রেই দরকার মিস্ত্রির। শুধু পার্থিব ঝড়ের ক্ষেত্রেই নয়, রাজনৈতিক ঝড়ঝঞ্ঝার পরও মিস্ত্রির চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝড়ের পর রাজ্যজুড়ে মিস্ত্রি জোগাড়ে নেমেছে বিজেপি। শাসক দলের ‘নেগেটিভ ভোট’ আর জাতীয়তাবোধের ধাক্কায় সাফ঩ল্যের নৌকা তীরে ভিড়লেও ২০২১ সালে লড়াইটা বেশ কঠিন তা ‘কেশব ভবন’ খুব ভালো করেই জানে। কারণ ২০২১ সালের ভোটে বালাকোট থাকবে না। কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূলের বহু মাতব্বরের গলায় লেগেছে ‘বকলেস’। তার উপর তৃণমূল যদি কৌশলে ‘কাটমানি নেতা’দের শোকেস থেকে গোডাউনে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে বিজেপির লড়াইটা আরও কঠিন হবে।
লড়াইটা কঠিন হবে বুঝেই সংগঠনে মন দিয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে ‘সদস্যতা অভিযান’। দল না বাড়লে ক্ষমতা দখল করা যায় না। তাই শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি। আর সেখানেই বেধেছে বিপত্তি। তবে ক্ষমতা দখল, আর এলাকা দখল এক নয়। ক্ষমতা দখলে লাগে মানুষের সমর্থন, আর এলাকা দখলের হাতিয়ার বোমা, বন্দুক ও মস্তান। ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মানুষই সম্পদ। আর এলাকা দখলে দাগিরা হয়ে ওঠে ‘দলের সম্পদ’। ‘দলের সম্পদরা’ চটজলদি রেজাল্ট দেয় বলে দলে তাদের দাপটও মারাত্মক। ভোট রাজনীতিতে সাফল্যই শেষ কথা হওয়ায় ‘দলের সম্পদ’দের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস সেকথাই বলে। ২০০০ সালে সিপিএমের কেশপুর, গড়বেতা, চমকাইতলা পুনর্দখলের সময় অন্তত তেমনটাই দেখা গিয়েছিল। গ্রাম দখল অভিযানে
সামনে থাকত কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। তাদের হাতে থাকত লং রেঞ্জের রাইফেল। সেই রাইফেলে অনেক দূর থেকে বিরোধীদের দখলে থাকা গ্রামের ‘যোদ্ধা’দের শুইয়ে দেওয়া যেত। লড়াইয়ের দিনগুলিতে মস্তানদের পিছনে পিছনে ঝাণ্ডা নিয়ে যেতেন ক্যাডার ও নেতারা। গ্রাম দখলের পর গাছের মগডালে বেঁধে দেওয়া হতো লাল ঝাণ্ডা। সেই ঝাণ্ডার আস্ফালনই বুঝিয়ে দিত, গ্রামের মালিক সিপিএম।
শাসক বদলায়, ক্ষমতা বদলায়, কিন্তু এলাকা দখলের কৌশল বদলায় না। তাই মানুষের ভোটে জিতেও শাসকদল ভিত শক্ত করতে প্রশ্রয় দেয় সেই ‘দলের সম্পদ’দেরই। মানুষ হয়ে যায় গৌণ। এই একই ভুল শাসকদল সর্বত্র করে। বারে বারে করে। কারণ ক্ষমতার দম্ভ মানুষের বিবেচনা শক্তিকে শুষে নেয়। তবে, ‘দলের সম্পদ’দের সঙ্গে ভোটারদের সম্পর্কটা অনেকেটা গণিতের ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের মতোই। একজন বাড়লে, অন্যজন কমে। দলে মস্তানদের আধিপত্য বাড়লে জনগণ সরে যায়, আবার মস্তান নির্ভরতা কমলে জনসমর্থন বাড়ে। এর অন্যথা হয় না।
টানের বাজারে জোগাড়েও কর্নিক হাতে নিয়ে রাজমিস্ত্রি হয়ে যায়। আবার কেঁট আলু, দাগি আলু, এমনকী পচা আলুও বাজারে বিক্রি হয়ে যায়। অনেকটা সেইভাবেই বিজেপির টানের বাজারে সিপিএম আর তৃণমূলের দাগি, পচারা গেরুয়া শিবিরের রাজা, উজির হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই মুহূর্তে বিজেপিতে সংগঠকের বড়ই প্রয়োজন। কারণ ‘আবেগের সমর্থন’ আর মেঘ অনেকটা একই রকম। যে কোনও সময় ভেসে ভেসে এদিক থেকে ওদিকে চলে যেতে পারে। তবে, মৌসুমী বায়ুর ছোঁয়া পেলে অবশ্য সেই মেঘই বৃষ্টি হয়ে ঝরে। আর বৃষ্টি হলে রুখাশুখা মাঠও সুজলা সুফলা হয়ে ওঠে। তাই সংগঠকদের বাজার এখন তুঙ্গে।
রাজনীতিতে মৌসুমী বায়ুর কাজটা করে সংগঠকরাই। সেই কারণেই সংগঠকদের এত চাহিদা। তাতে কেঁট হোক, পচা হোক বা দাগিই হোক, গায়ে সংগঠকের ছাপটা থাকলেই হল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না তৃণমূল ও সিপিএমের সুযোগ সন্ধানীরা। কারণ তাঁরা ভাবছেন, আকাশে যে মেঘ জমেছে তাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেই কারণেই লেগেছে হুড়োহুড়ি। বিশেষ করে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা প্লেয়াররা তো পায়ে বল ছোঁয়ানোর জন্য মরিয়া। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রকৃতি কেমন যেন খামখেয়ালিপনা শুরু করেছে। দামি দামি যন্ত্রের সাহায্য নিয়েও আবহাওয়াবিদদের দেওয়া পূর্বাভাস মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা হয়তো বলছেন, সারাদিন বৃষ্টি হবে। অথচ সকাল থেকে রোদে কাঠ ফাটছে। আবার উল্টোটাও হচ্ছে। হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে যাচ্ছে। তাই পূর্বাভাসে মানুষ আর আগের মতো ভরসা রাখতে পারছে না। সব সময় যেন মনের মধ্যে কেমন একটা কিন্তু-কিন্তু ভাব থেকেই যাচ্ছে।
মেঘের সঙ্গে মৌসুমী বায়ুর সংযোগ স্থাপন হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে মস্তান, দাগি, পচাদের ভিড় বাড়লে দলের ইমেজ যে কেরোসিন হতে পারে সেটা বিজেপির অনেকেই আশঙ্কা করছেন। আর তা হলে মুখ থুবড়ে পড়বে ‘মিশন-২০২১’। সেই জন্যই ‘সবারে করি আহ্বান’ গানে অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। তবে এব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন আসানসোলের সংসদ সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সম্ভবত দলের মধ্যে আপত্তি জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বুঝেই তিনি দুম করে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন একটি ‘ভয়েস মেসেজ’। দুর্গাপুরের ‘চিন্তন শিবিরে’র আগের দিন ওই ‘ভয়েস মেসেজে’ তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দল বাড়াতে হবে ঠিকই। তবে তৃণমূলের নেতাদের নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর ঘোর আপত্তি আছে। কারণ তৃণমূলের নেতারাই বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন এবং চালাচ্ছেন। শুধু আপত্তির কথা জানিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি, তিনি যোগদান প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
চিন্তন শিবির বিজেপি নেতাদের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে দুর্গাপুরে প্রকাশ্য সভায় তৃণমূল নেতার যোগদানকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়। ‘সুশৃঙ্খল’ পার্টির কর্মী সমর্থকরা সভাস্থলে চেয়ার ভেঙে নেতাদের কাজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, যারা এতদিন বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে, লুটপাট চালিয়েছে, তাদের দলে নিলে চলবে না। গেরুয়া শিবিরের আদি কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের উপর রেগে মানুষ তাদের দলকে সমর্থন করেছে ফের তারাই যদি ‘বিজেপির মুখ’ হয়ে যায় তাহলে কেন বিজেপিকে চাইবে?
তবে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের আশঙ্কার জায়গাটা আরও বড়। তাঁদের ধারণা, বিভিন্ন জায়গায় অন্য দলের যে সব নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা বেশিরভাগই প্রচুর টাকার মালিক। টাকার জোরে একদিন তাঁরাই দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। তারপর তাঁরাই সুযোগ বুঝে আমাদের উপর অত্যাচার চালাবেন। ঠিক এটাই হয়েছিল তৃণমূলে। তাহলে আমরা কি সব সময় পড়ে পড়ে মারই খাব? দুর্গাপুর বা আসানসোলের ঘটনা হয়তো খণ্ডচিত্র। তবে, প্রায় একই ঘটনা ঘটছে বর্ধমান, কেশপুর, গোঘাট, বীরভূম সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। সিপিএম এবং তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে।
দল বাড়ানোর জন্য একটা সময় তৃণমূল যে ভুল করেছিল, বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের বহু জায়গায় সেই একই কাজ করে যাচ্ছে। এসব দেখে চিন্তন শিবিরের পর বিজেপির এক প্রবীণ কর্মী বলেন, নিজেদের লোককে তৈরি করে নেওয়ার আনন্দটা যে সন্তান মানুষ করার চেয়ে কম নয়, সেটা আমাদের কেউ কেউ বুঝতে পারছেন না। এই দেখুন, চন্দ্রযান-২ নিয়ে আমাদের এত আবেগ কেন? কারণ সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে, দেশের বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রযান তৈরি করেছেন। সেই জন্য চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে গোটা দেশের মানুষের আবেগ জড়িয়ে গিয়েছে। আজ যদি এটা আমেরিকার নাসার সঙ্গে যৌথভাবে করত তাহলে কি এই আবেগ থাকত? না, কিছুতেই থাকত না। দেখুন, চন্দ্রযান-১ চাঁদে নামতে পারেনি। সেই ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে মানুষ চন্দ্রযান-২’কে নিয়ে আবেগে ভেসেছে। কারণ নিজেদের তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের আবেগ অসীম। সেই জন্যই তো নিজের গাছের টক আমও সুস্বাদু লাগে।
ওই প্রবীণ বিজেপি কর্মী বলেন, আসলে আবেগ এক ভয়ঙ্কর শক্তি। আবেগ অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে। আবেগ ছিল বলেই মোহন বাগানের খেলোয়াড়রা খালি পায়ে ফুটবল খেলে বুট পরা ইংরেজদের হারাতে পেরেছিল। আবেগ ছিল বলেই এরাজ্যে প্রায় কোনও রকম সংগঠন ছাড়াই বিজেপি আজ ২ থেকে ১৮। আবেগ আছে বলেই তো মানুষ আর যন্ত্র আলাদা। তা না হলে সব এক হয়ে যেত। ভাড়াটে সৈনিকের মধ্যে আবেগ থাকে না। তাই ভাড়াটে সৈনিক এনে হয়তো সংখ্যা বাড়ানো যায়, বিরোধীদের চাপে রাখা যায়, কিন্তু যুদ্ধ জেতা যায় না। এই সহজ সত্যিটা আমাদের নেতারা যত তাড়াতাড়ি বোঝেন ততই মঙ্গল।
25th  August, 2019
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
একনজরে
পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...

২ মে ২০১৮। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত লড়াই মেলে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। ...

গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তবে জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ...

রানিগঞ্জের কয়লাখনি অঞ্চলে ধস দুর্গতদের অবিলম্বে পুনর্বাসন চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ আসানসোলে দলের নেতৃত্বকে নির্দেশও দিলেন তিনি। পাশাপাশি আঙুল তুললেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM