উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
গত ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে এবারের বাণিজ্য সম্মেলন। অন্যান্য বছর জানুয়ারি মাসকেই রাজ্য সরকার বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য বেছে নিলেও, এবার তার আয়োজন ছিল ফেব্রুয়ারিতে। সু্ইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে শিল্পপতিরা উপস্থিত থাকতে পারেন ভেবেই পিছিয়েছিল সম্মেলন। রাজ্য সরকার তেমনটাই দাবি করেছিল। কিন্তু আগামী বছর শিল্পসভার আয়োজন কবে হবে, এ বছর তা ঘোষণা করা হয়নি। অন্যান্য বছর অবশ্য মেলার শেষ দিনেই পরের বাণিজ্য সম্মেলনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট রাজ্যের শো-কেস উৎসব, যার মধ্যমে নিজেদের ইন্ডাস্ট্রি-ব্র্যান্ডিং করে সরকার। এখন কম-বেশি প্রায় সব রাজ্যই এইভাবে নিজেদের শিল্প সম্ভাবনাকে সামনে আনতে চাইছে। কিন্তু প্রতি বছর সম্মেলন করার তাগিদ নেই কারও। এমনকী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদি যে ‘ভাইব্রান্ট গুজরাত’-এর আয়োজন করে সবার নজর কেড়েছিলেন, সেই শিল্প সম্মেলনও প্রতি বছর হয় না। এক বছর অন্তর তার অয়োজন করে পশ্চিমের রাজ্যটি। তাই পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে ফি বছর সেই সম্মেলনের সাহস দেখাচ্ছে, তা শিল্পপতিদের কাছে তারিফের বিষয়। কারণ, শিল্পমহল বলছে, কতট বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হল, সেটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই রাজ্য সরকার নিজেদের তরফে কী কী পরিকাঠামো গড়ল বা কোন কোন বিষয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগ নিল, সেটাও কম গুরুত্বের নয়। জমি, বিদ্যুৎ, জল, শ্রমিক যেমন শিল্পের জন্য অপরিহার্য, তেমনই সরকারি আন্তরিকতাও জরুরি। যেখানে রাজ্য সরকার নিরন্তরভাবে শিল্পের গা থেকে প্রশাসনিক জটিলতার ফাঁস আলগা করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, শিল্পপতিদের কাছে সেই বার্তাটুকু নিয়ম করে পৌঁছে দেওয়াটাও জরুরি, বলছে শিল্পমহল।
চলতি বছরের শিল্প সম্মেলনে মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালদের মতো শিল্পপতিরা যেমন হাজির হয়েছেন, তেমন তাঁরা বড় ঘোষণাও করে গিয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন আরও বেশ কিছু তারকা শিল্পপতি। কিন্তু বহু ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিও আছেন, যাঁরা ওই সম্মেলনে নিজেদের বিনিয়োগ প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। বিনিয়োগ প্রস্তাবের অঙ্ক পৌঁছেছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকায়। আবার অনেকেই সম্মেলনে আসার চেষ্টা করেও শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণপত্র জোগাড় করতে পারেননি। সরকারও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের প্রতি যেভাবে শিল্পসংস্থাগুলির আগ্রহ বাড়ছে, সেখানে আগে থেকে সম্মেলনে আসার চেষ্টা না করলে পস্তাতে হবে। সেই কারণেই রাজ্য আগামী বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন চালু করে দিয়েছে রাজ্য, বলছেন সরকারি কর্তারা। তবে কবে সেই সম্মেলন হবে, তা স্পষ্ট না হওয়ায়, কিছুটা বিপাকে অনেক শিল্পকর্তাই। তাঁদের আশা, ভোটপর্ব মিটলেই জানা যাবে নির্ঘণ্ট।