বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গত মার্চ মাসে ঝড়-বৃষ্টির জেরে গরম মাত্রাছাড়া না হওয়ায় দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ঘোরাফেরা করেছে সর্বোচ্চ ১৭০০ মেগাওয়াটের আশপাশে। কিন্তু এপ্রিল থেকে গরমের জেরে এসি বসানোর আবেদনের সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন কোম্পানির কর্তারা। ফলে চলতি মাস থেকেই উপর দিকে উঠতে শুরু করবে দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রাফ। বর্ষার মুখে আগামী জুনে সেই চাহিদা তুঙ্গে উঠতে পারে ২২১০ মেগাওয়াটে। চাহিদা বাড়লেও বিদ্যুৎ বণ্টনে কোথাও খামতি থাকবে না বলেই জানিয়েছেন সিইএসসির কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, এসির জন্য আবেদনের সর্বাধিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তার অনুমোদন দেওয়া হবে। গরমে আগের মতোই সুষ্ঠু পরিষেবাই পাবেন গ্রাহকরা।
কোম্পানির এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, বিদ্যুৎ চাহিদার গতিপ্রকৃতি সবসময়ই নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। চলতি বছরে মার্চে একাধিক দিন ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। যা গরমের দহন থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে বাসিন্দাদের। মার্চের শেষদিকে অবশ্য গরমের আঁচ কিছুটা হলেও বেড়েছে। তাতে বেড়েছে দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণও।
সিইএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১৯ জুন তাদের এলাকায় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছিল ২১৫৯ মেগাওয়াটে। যা এখনও পর্যন্ত ‘অল টাইম রেকর্ড’। গত বছরের দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা সেই রেকর্ড ভাঙতে পারেনি। ২০১৮ সালে দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ১৮ জুন। ওই দিন চাহিদা পৌঁছে গিয়েছিল ২১৩১ মেগাওয়াটে। এ বছরও দৈনিক সর্বোচ্চ চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাড়বে জুনেই। এমনটাই মনে করছেন কোম্পানির কর্তারা।
কোম্পানি সূত্রের খবর, গত বছরে এপ্রিল থেকে জুন মাসে এসি বসানোর অনুমোদন চেয়ে প্রায় ৩২ হাজার আবেদন এসেছিল। তার অনুমোদনও দেওয়া হয়। চলতি বছরে এসির জন্য আবেদনের সংখ্যা গত বছরের থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়বে বলেই মনে করছেন কর্তারা। এক কর্তা বলেন, এসির জন্য আবেদনের পর দেখা হয় সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মিটারের ক্ষমতা ‘লোড’ বৃদ্ধির জন্য উপযোগী কি না। উপযোগী থাকলে মিটারে কোনও বদল ছাড়াই অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যথায়, মিটারটি উচ্চ ক্ষমতার করে দেওয়া হয়। এই কারণেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসি বসানো উচিত। তা না হলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সিইএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ বলেন, এবারের গরমেও আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত এসির অনুমোদন দেওয়া হবে। গরমে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়লেও গ্রাহকরা উন্নত পরিষেবাই পাবেন। আগাম সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গরমে দৈনিক সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা এবারও সবচেয়ে বেশি হতে পারে আগামী জুনে।