উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এদিকে, ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী মনে করেন স্টিম্যাকের অভিজ্ঞতায় ভারতীয় ফুটবল লাভবান হবেই। তিনি বলেন, ‘নতুন বসকে অভ্যর্থনা জানাতে আমি তৈরি। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেছেন স্টিম্যাক।’
৩৪ বছর বয়সী সুনীল ভারতের হয়ে একশোর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক আন্তর্জাতিক গোলদাতা। আসন্ন কিংস কাপ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘আমি তো সতীর্থদের সবসময় বলি দেশের হয়ে নিজের একশো শতাংশ সেরাটা দাও। সারা বছর নিজের ফিটনেসের দিকে নজর দাও। প্রয়োজনে সেই ফিটনেস ম্যাচ মোডে এনে কাজে লাগাও। স্টিম্যাকের কোচিংয়ে ভারতীয় ফুটবলের এক নতুন অধ্যায় রচনা করতে হবে।’
কিংস কাপ খেলতে তৈরি ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিম্যাকও। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আর সময় নেই। প্রস্তুতির জন্য পরিকল্পনামাফিক ও সংগঠিতভাবে এগতে হবে। আমি কোনও কিছু নিয়েই অভিযোগ করা পছন্দ করি না। আমার নিজস্ব এক ফুটবল দর্শন রয়েছে। তা ভারতীয় দলে প্রয়োগ করতে চাই। আমার দর্শন হল, ‘সংগঠিত ফুটবল, দ্রুত পাসিং, শক্তিশালী মুভমেন্ট ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ডিফেন্সিভ ওয়ার্ক। আমি ফুটবলার বাছাইয়ে মানসিক ও শারীরিক ফিটনেসকে অগ্রাধিকার দিই। তবে ফুটবলে তরুণ বা বয়স্ক বলে কোনও কথা হয় না। দুটো কথা বুঝি। সেটা হল ভালো অথবা সেই ফুটবলার ভালো নয়।’
ভারতের বাঙালি সাইডব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার যথাক্রমে প্রীতম কোটাল ও প্রণয় হালদার বলছেন, ‘স্টিম্যাকের কোচিংয়ে আমরা উন্নতি করবই। দীর্ঘদিন পর কিংস কাপ আমরা খেলতে নামছি। নতুন কোচের কৌশল আমাদের দ্রুত রপ্ত করে নিতে হবে।’ ২৫ বছর বয়সী প্রীতম ভারতের হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন।
প্রণয় হালদার মনে করেন, কিংস কাপ যদি ভারত জিততে পারে, তাহলে নতুন কোচের কাছে সেটাই বড় উপহার হবে। এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন প্রণয়।