বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বিশ্বকাপের মহড়া হিসেবে পাঁচ ম্যাচের এই ওয়ান ডে সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। তবে দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে দারুণ উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দিল দুই দল। টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু তাঁর ভাবনাকে জোরাল ধাক্কা দিয়ে ব্যাটিং শক্তির পরিচয় দেন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। ৮৭ রানের দুরন্ত ইংনিস খেলেন ওপেনার জেসন রয়। ৪৫ বলে ৫১ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জো রুট ৪০ এবং ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যান ৪৮ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যান বাটলার। আইপিএলে সদ্য ৮ ম্যাচে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৩১১ রান করে দেশে ফেরা ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানটি এদিনও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। পাক বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। ইংরেজ ব্যাটসম্যান হিসেবে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১০ রান করে অপরাজিত থাকেন বাটলার। তাঁর ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি ছক্কা ও ৬টি বাউন্ডারি। ব্যাটসম্যানদের দাপটে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে ৩৭৩ রানের পাহাড় গড়ে তোলে ইংল্যান্ড।
জবাবে দারুণ ভাবে শুরু করেছিল পাক বাহিনীও। ওপেনিং জুটিতে ৯২ রান তুলে ফেলেছিল তারা। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ইমাম-উল হক আউট হলেও লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন সঙ্গী ওপেনার ফখর জামান। বাবর আজমের সঙ্গে (৫১) নিয়ে আরও একটি বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০৬ বলে ১৩৮ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ফখর জামান। তারপরও ভালো লড়াই করেছিলেন ও আসিফ আলি (৫১) ও সরফরাজ আহমেদ (অপরাজিত ৪১)। তাতেও জয় থেকে ১২ রান দূরে থমকে যায় পাকিস্তান।