শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, কম করে ছ’জন স্থায়ী শিক্ষক প্রয়োজন। অফিসের কাজকর্ম করার জন্য নন-টিচিং স্টাফও দরকার। জেলা স্কুলশিক্ষা দপ্তর স্কুলের সমস্যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
২০১৫ সালে এই স্কুলের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এডিডিএর চেয়ারম্যান নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলটি তৈরি করতে এগিয়ে আসেন। এডিডিএ’র আর্থিক সহায়তায় স্কুলে চারটি শ্রেণিকক্ষ, শৌচাগার ও অফিসঘর তৈরি করা হয়। ২০১৫ সালের সূচনা থেকেই এই স্কুলে পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হচ্ছে। এখন স্কুলে ১৩৫জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর ধরে স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এক অভিভাবক জানান, স্কুলে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অতিথি শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। মলানদিঘি দুর্গাদাস বিদ্যামন্দির থেকে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা এখানে এসে পড়াচ্ছেন। তাও শিক্ষকদের সংখ্যা পর্যাপ্ত হচ্ছিল না। স্কুল যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেই ভাবনা থেকে এলাকার পাঁচজন শিক্ষিত যুবক-যুবতীকে দিয়ে স্কুলে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এই স্কুলটি নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের কোনও নজর নেই। অথচ এলাকার মেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার জন্যই স্কুলটি চালু হয়েছে। এখনই শিক্ষাদপ্তর নজর না দিলে আগামীতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
বিজেপি শিক্ষক সেলের কনভেনার বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ২০১৬ সালের ভোটের দিকে তাকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক নতুন স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিলেন। এটি তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ভোট মিটতেই সেসব ভুলে গিয়েছেন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। শিক্ষাদপ্তরকে সমস্যার কথা জানিয়েছি।