শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বোলপুরে গ্রুপ পর্যায়ের খেলায় যাদবপুর ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিমকে হারিয়ে দেয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দল। গ্রুপ থেকে দু’টি দল সেমিফাইনালে পৌঁছনোর কথা। গ্রুপ পর্যায়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ও দু’টি ম্যাচ জেতে। ফলে সোমবার বর্ধমান ও কল্যাণী মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৯ রানের স্কোর খাড়া করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম। জবাবে ৪৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় কল্যাণী। কল্যাণীর বোলাররা অতিরিক্ত হিসেবে ২৩ রান দেন। তার মধ্যে ২২টি ওয়াইড বল। বর্ধমানের বোলররা অতিরিক্ত ১০১ রান দেন। তার মধ্যে ৮৬টি ছিল ওয়াইড বল। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের খেলায় এত ওয়াইড বল করা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সেমিফাইনালে শক্তিশালী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি না হওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ওয়াইড বল করে কল্যাণীকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ম্যাচ হারলেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিফাইনালে যাওয়া আটকায়নি। গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের ম্যানেজার অশোক চক্রবর্তী বলেন, দল আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই প্রথম একাদশের কয়েকজনকে বাদ দিয়ে দল নামানো হয়েছিল। অনভিজ্ঞতার কারণে ও প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে বোলাররা কিছু ওয়াইড বল করেছে। এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য থাকলে ছেলেরা স্লো ব্যাটিং করতে পারত। কিন্তু, দল ভালো স্কোর খাড়া করেছিল।
যদিও ম্যানেজারের যুক্তি মানতে নারাজ ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, এখন সারা বছর ক্রিকেট খেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তাঁরা যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও যোগ্য। আগের বিভিন্ন ম্যাচে তাঁরা এত অতিরিক্ত রান দেননি।