পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ওই পাঁচ ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৩২০, ২৭০, ২৫০, ২৪৭ ও ২৪৩। ওদের কেউ একবছর ধরে হোমে রয়েছে। কেউ বা পাঁচ বছর ধরে হোমে রয়েছে। একটা সময় ওরা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। কিন্তু, কোনওভাবে পাচার হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কোনওভাবে বেরিয়ে আসে। এখন তাদের হোমে ঠাঁই হয়েছে।
হোম কর্তৃপক্ষ ওদের ফের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। সেইমতো পরীক্ষার আগে প্রস্তুতিও নিতে হয়েছিল। মাধ্যমিকে কারও পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল হেরামপুর, ওমরপুর বা নগরগ্রামে। এবছর ওই হোম থেকে এই পাঁচ ছাত্রীই মাধ্যমিক দিয়েছিল।
হোম সূত্রে খবর, পাঁচ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজনের লড়াইটা ছিল খুব কঠিন। উত্তর ২৪ পরগনার ওই ছাত্রী নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় পাচার হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তার ঠাঁই হয়েছিল হোমে। পরীক্ষার আগে মাধ্যমিক বোর্ডের কাছে স্পেশাল অনুমতি নিয়ে কর্তৃপক্ষ তার পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে। ওই ছাত্রী বলে, আমার জীবনের কঠিন লড়াই ছিল এটা। ভাবতেও পারিনি যে আবার পড়াশোনা করতে পারব। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই আমি জারি রাখব।
অপর এক ছাত্রী বলে, জীবনে আবার কোনওদিন লেখাপড়া করতে পারব-তা চিন্তাও করতে পারিনি। কিন্তু, হোম কর্তৃপক্ষের উৎসাহে মনে বল পেয়েছিলাম। সাহস করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলও করলাম।
ওই হোমের সুপার মিঠু মণ্ডল বলেন, এরা সবাই নির্যাতিতা। কেউ পাচার হয়ে গিয়েছিল, কেউ বা অপহৃত হয়েছিল। ওদের লেখাপড়ার আগ্রহ তৈরি করার মানসিকতা গড়ে তোলাটাই আমাদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই লড়াইয়ে আমরা সফল হয়েছি। ওরা সমাজের মূল স্রোতে ফেরার চেষ্টা করছে। আমাদের যুদ্ধটাও ওদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।