পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বিজেপির প্রার্থী প্রণত বলেন, ফর্মালিটি অনুযায়ী করা হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার দোবাটি গ্রামে প্রণতর আদি বাড়ি। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ভোটের দামামা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু তিনি ইস্তফা দিলেও স্বাস্থ্য ভবন তাঁকে রিলিজ করছিল না। এই কারণে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে দেরি হয় বিজেপির। পরবর্তী সময়ে এনওসি পান প্রণত। গত ৩০ এপ্রিল তিনি জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। জেলা প্রশাসনের এক নেতা বলেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেক খুঁটিনাটি শর্ত থাকে। সেই শর্ত পূরণ না হলে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ময়দানে নেমে লড়াই করবে ডামি প্রার্থী। বীরভূম লোকসভা আসনের প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির সময়ে বাতিল করা হয়। তিনি একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। ‘নো ডিউস’ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় তাঁর ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয় বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির এক নেতা বলেন, প্রণতবাবু দীর্ঘদিন সরকারি কর্মচারী ছিলেন। ফলে তাঁকেও ‘নো ডিউস’ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে বলেই জানি। প্রণতবাবুর মনোনয়ন বাতিল হলে মনোবল ভেঙে যাবে। জানা গিয়েছে, ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম প্রায় ১২ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। তবে এরপর বিজেপি একটিও নির্বাচনে জিততে পারেনি। তাই লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তবে ৭ মে স্ক্রুটিনি না হওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেন বলেন, আমাদের কোনও ডামি প্রার্থী নেই। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। ভোটের ময়দানে জিতবে উন্নয়ন।