পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
১৯৭৭ সালে খড়্গপুর কলেজে পড়াকালীন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের(এবিভিপি) যোগ দিয়ে সংগঠন বিস্তারের কাজে নামেন প্রদীপবাবু। তখন থেকেই শুরু রাজনৈতিক জীবন। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন থেকেই সংগঠনের সদস্য তিনি। ১৯৮০ সাল থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ সামলেছেন। ১৯৮২ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে খড়্গপুর সদর বিধানসভা থেকে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করেন প্রদীপবাবু। এরপর ওই কেন্দ্র থেকেই ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০০৯ সালের লোকসভায় মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন তিনি। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি নেতা বলতে তাঁকে এক ডাকে চিনতেন, সেই প্রদীপ পট্টনায়েক রবিবার যোগ দিলেন তৃণমূলে।
রবিবার তৃণমূলের জেলা পার্টিঅফিসে প্রদীপবাবুর হাতে ঘাসফুল আঁকা পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভার পর্যবেক্ষক জয়প্রকাশ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা, প্রার্থী জুন মালিয়া প্রমুখ। প্রদীপবাবুর পাশাপাশি কেশিয়াড়ির প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বঙ্কিম মাইতি, দক্ষিণ পূর্ব রেলের স্বনামধন্য ফুটবলার মুক্তিপ্রসাদ মান্না, শিক্ষক নেত্রী ইতু গঙ্গোপাধ্যায়ও তৃণমূলে যোগদান করেন।
জয়প্রকাশবাবু বলেন, রবিবার মেদিনীপুরের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক দিন। মেদিনীপুরে বিজেপির যে সংগঠন ছিল, তার কোমর ভেঙে গিয়েছে। প্রদীপবাবু অবিভক্ত মেদিনীপুরে বিজেপির জন্ম দিয়েছিলেন। তখন কোথায় অধিকারী পরিবার?
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে খড়্গপুর আসনে যখন দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা হয়, তখন প্রদীপবাবুই ছিলেন তাঁর ভোট কাণ্ডারী। প্রদীপবাবুর হাত ধরে জয়ের স্বাদ পান দিলীপবাবু। প্রদীপবাবু বলেন, অটলজি, আদবানিজির সময় বিজেপি ভালো দল ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পরে অনেক রামভক্তের জন্ম হয়েছে, যাঁরা বিজেপিকে কন্ট্রোল করছে। তাঁর প্রশ্ন, দিলীপবাবুকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল? বিজেপি এখন দুর্নীতিবাজ দলে পরিণত হয়েছে। এই বিজেপি আমি চাইনি। তার থেকে তৃণমূল ভালো কাজ করছে। উন্নয়ন করছে। জুন মালিয়াকে জেতালে অন্তত এলাকার উন্নয়ন হবে। তাই আমি তৃণমূলের হাত ধরছি। যদিও এনিয়ে বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, উনি ছ’বার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কোনওদিন জিততে পারেননি।