পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
সুমিতবাবুর গোপীগঞ্জ বাজারেই সোনার দোকান রয়েছে। দোকান থেকে তাঁর বাড়ি মেরেকেটে দেড় কিমি। প্রতি দিনের মতো শনিবার রাত ৯টা নাগাদ তিনি দোকান বন্ধ করে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই ছিনতাই হয়। সুমিতবাবু বলেন, ওই রাতে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার সঙ্গে ১৫০ গ্রাম সোনা এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা ছিল। আধ কিলোমিটারের মতো আসার পর রাস্তায় তিন দুষ্কৃতী আটকায়। বাইক থামিয়ে একজন পকেট থেকে পিস্তল বের করে আমার কপালে ঠেকিয়ে ধরে। তারপর বলে, যা কিছু আছে বের করে দে। না হলে তুইও যাবি তোর কাছে যা আছে সেগুলিও যাবে। আমি প্রাণভয়ে সোনা এবং টাকা দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দিই। এরপর ওরা বাইক চালিয়ে চলে যায়। ওরা পিস্তল তাক করে ছিল। একটু দূরে যেতেই আমি চিৎকার শুরু করি। তারপরই বাসিন্দারা ছুটে আসেন। কিন্তু, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তন্ময় সাহা বলেন, ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত। গ্রীষ্মকালে রাত ৯টা মানে কিছুই না। ওই সময় ব্যস্ততম রাস্তায় ছিনতাই হতে পারে ভেবেই আতঙ্কিত। উপপ্রধানের অনুমান, সুমিতকে কেউ দোকান থেকেই অনুসরণ করেছিল। তা না হলে এটা সম্ভব হতো না। কিছুদিন আগে এলাকার এক স্টেশনারি দোকানের মালিকের কাছ থেকেও ছিনতাই হয়েছিল। বারবার এই ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিস দোষীদের খুঁজে বের করুক। পুলিস জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।