ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম তারা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও পড়াশোনা, বৃত্তিমূলক কাজের পাশাপাশি নাচেও দক্ষ হাবিবা এবং পাপিয়া। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওদের নাচের দক্ষতা নজর কাড়ে সকলের। সম্প্রতি দিল্লিতে জাতীয় স্তরের এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এসেছে তারা। কুহেলি দারুন গান ও আবৃত্তি করে। নিজের জেদে আজ এই তিনজন মাধ্যমিকে সফল। তিন ছাত্রীই ৮০-৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। দাঁতনের একটি আবাসিক হোমে থেকে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়েছে তারা। হোমের আবাসিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে শিখেছে পড়াশুনা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দাঁতন বীণাপাণি গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল তারা। আর তারপর এসেছে এই সাফল্য। বড় হয়ে বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে হাবিবা। নিজে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হয়েও অন্যদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সমাজের মূল স্রোতে। হাবিবা বলে, আমি বড় হয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের পাশে দাঁড়াব ও তাদের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অন্যদিকে পাপিয়া চায় বড় হয়ে নার্স হতে। ভালোভাবে পড়লেও মনে ভয় নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল সে। পরীক্ষার ফল বেরতে ভীষণ খুশি সে। কুহেলির ইচ্ছে বড় হয়ে গান, কবিতার প্রশিক্ষক হওয়ার। ওই আবাসিক হোম কর্তৃপক্ষের অন্যতম শুভাশিস মেইকাপ বলেন, বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা এই ঘরে আবাসিক হিসেবে থাকে। আর তাদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করে থাকি। এবারের মাধ্যমিকে প্রায় ৯০ শতাংশ বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন তিন মেয়ে ভালো ফল করায় আমরা খুব খুশি।
মার্কশিট হাতে হাবিবা খাতুন, কুহেলি দাস ও পাপিয়া প্রামাণিক।-নিজস্ব চিত্র