ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী কালীপদবাবু বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থন পেলাম। এত মানুষ আসবেন-তা ভাবতেই পারিনি। এই ভিড় উন্নয়নের ভিড়। আমরা এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না।
এনিয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, মিছিলের লোক দেখে ভোটের বিচার করা যাবে না। মানুষ জানে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় দুর্নীতি হয়েছে। যুবক-যুবতীদের চাকরি হয়নি। সেই তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। আমাদের জয় নিশ্চিত। ঝাড়গ্রাম শহরের হিন্দু মিশন মাঠ থেকে তৃণমূলের সুবিশাল পদযাত্রার সূচনা হয়। দুপুরে জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসুর হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন প্রার্থী। মনোনয়ন উপলক্ষ্যে প্রার্থী ছাড়াও জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু, বনমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা, বিনপুর ও গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। একসময় এই জেলা মাওবাদীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল। মানুষ সামান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধাটুকুও পেতেন না। নেতাই সহ একাধিক ঘটনার সাক্ষী থাকেন ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু সরকার বদলের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে জেলার অর্থনীতি অনেকটাই বদলেছে। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে সেটাকেই হাতিয়ার করছে তৃণমূল। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির সংগঠন একেবারে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রচারে তৃণমূল ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে।এক তৃণমূল নেতা বলেন, মিছিলে এত মানুষের ঢল নামবে ভাবা যায়নি। একুশের বিধানসভা ভোটের মনোনয়নপত্র দেওয়ার সময় এত মানুষের সমাগম হয়নি। প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছেন। কাউকে জোর করে বা প্রলোভন দেখিয়ে আনা হয়নি। তবে মিছিলটি মাঝে বিশৃঙ্খল হয়ে গিয়েছিল। এত কর্মীদের সামাল দিতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছে।