ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বলরামের বাড়ি কাঁকসা থানার মাধব মাঠ এলাকায়। কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ বলেন, নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলরাম লোহারের বিরুদ্ধে। বুধবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ মেয়ের আর্তনাদ শুনতে পান তিনি। দ্রুত মেয়ের রুমে যেতেই অভিযুক্ত বলরাম ধাক্কা মেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বলরম ঘরে ঢুকে যৌন নির্যাতন করে। তাতেই মেয়ে আর্তনাদ করে উঠে। মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। নির্যাতিতার পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, আমরা বলরাম লোহারের শাস্তি চাই। অভিযুক্ত এলাকায় বিজেপির পরিচিত মুখ। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যেন পার পেয়ে না যায়।
মাধব মাঠ এলকাটি কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বলরাম। সে পরাজিত হয়। বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য লাল্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন, কিছুদিন আগেই এলাকায় দিলীপ ঘোষ প্রচার এসেছিলেন। তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল বলরাম। এলাকার দেওয়াল লিখন পোস্টারিং সব কিছুতেই ও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। ওর এই কুকীর্তির পর এলাকার লোক বিজেপির বিরুদ্ধে ছি ছি করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, কাঁকসায় বিজেপি নেতাদের যৌন নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়া এই প্রথম নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাঁকসা থানারই বামনাবেড়াতে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত হিসেবে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ভাইপো সহদেব ঘোড়ুইয়ের নাম উঠে আসে। তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় কর্মীর মেয়ের সঙ্গে সহবাস করার। আদালত সহদেবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছিল। নতুন করে আবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠায় কাঁকসায় বিজেপি কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমানষে।
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সী বলেন, বিজেপি মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখে। মেয়ের বয়সী এক নাবালিকাকে এভাবে যৌন নির্যাতন করতে পারে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য, তা ভাবাই যাচ্ছে না! ধারাবাহিকভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠছে। নির্বাচনে মানুষ ওদের জবাব দেবে। বর্ধমান-দুর্গাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি রহমান শর্মা বলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বলরাম লোহার তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল। এবারের দিলীপদার প্রচারে বহু তৃণমূল কর্মীও তার সঙ্গে ঘুরছে।। ছবি দেখিয়ে বিজেপির বদনাম করার চেষ্টা চলছে। তাতে লাভ নেই। সন্দেশখালির ঘটনার পর তৃণমূলের মুখে নারী নির্যাতনের কথা মানায় না।
দিলীপ ঘোষের প্রচারে ধৃত কর্মী।-নিজস্ব চিত্র