আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
দুই জেলাজুড়ে হাতির তাণ্ডব বাড়ছে। হাতির সঙ্গে বাসিন্দাদের ঝামেলা বাড়ছে। হাতির পালকে অন্যত্র সরাতে গিয়ে একদিকে চাষিদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। চাষিদের রাগ গিয়ে পড়ছে হুলাপার্টির কর্মীদের উপর। ফসল রক্ষা করতে রাতপাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মেদিনীপুর বনবিভাগে প্রায় ৬০-৬৫টি হাতি রয়েছে। খড়্গপুর বনবিভাগে প্রায় ১০০-১০৫টি হাতি রয়েছে। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগেও প্রায় ৪০-৪২টি হাতির দল রয়েছে। অর্থাৎ দুই জেলা মিলিয়ে দুশোর বেশি হাতি অবস্থান করছে। হাতির পালকে অন্যত্র সরাতেও হিমশিম খাচ্ছে বনদপ্তর। সোমবার রাতে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম রেঞ্জের কলমাপুকুরিয়া, পাঁচকাহানিয়া ও নয়াগ্রাম বিট এলাকায় ধানজমিতে তাণ্ডব চালায় প্রায় ৫০টি হাতির দল। বিঘার পর বিঘা জমির ধান খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করে। চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। নয়াগ্রাম এলাকার কৃষক বঙ্কিম ভক্তা বলেন, সব পরিশ্রম জলে গেল। এক রাতেই বিঘার পর বিঘা জমির পাকা ধান হাতির দল নষ্ট করে দিয়েছে। খড়্গপুরের ডিএফও মণীশ যাদব বলেন, চাষিরা ক্ষয়ক্ষতির আবেদন করলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে ধান তুলে নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। আমরা চাষিদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাকা ধান মাঠ থেকে তুলে নিতে অনুরোধ করছি। দীর্ঘ ৪০দিন ধরে ৬৫টি হাতির একটি দলকে জঙ্গলে আটকে রেখেছিলাম। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, হাতির পালকে সামলাতে না পেরে দিকভ্রান্ত বনদপ্তরের আধিকারিকরা। অনেক ক্ষেত্রে হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। দুই জেলার আধিকারিকদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবে কিছুদিন আগেই কংসবতী নদীর চরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতি আটকে রেখে দেওয়া হয়।