আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
বেলা বাড়লেই তীব্র রোদে চাষের কাজ করতে পারছেন না চাষিরা। মাঠের কাজ সেরে তাই সকাল সকাল বাড়ি ফিরছেন। দুপুরে বাড়িতেই পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের। কেউ কেউ তীব্র গরমে পাড়াতেই গাছতলায় সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আবার স্থানীয় কোনও দোকানে বসে পড়শিদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভরদুপুরে পাড়া ও মহল্লায় বাড়িতে বাড়িতে প্রচার করছে তৃণমূল। কোনও পড়ায় গাছতলায় বসে চাষিদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন নেতারা। আবার বাড়ির দাওয়ায় বা দোকানের সামনে জমায়েতে গল্পের ছলে চাষি খেত মজুরদের সামনে রাজ্য সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের কথা বলছেন। এই প্রচার ভালো প্রভাব পড়ছে বলে দাবি নেতৃত্বের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ফাঁকা। তাই রোড শো ও পথসভা করে বিশেষ লাভ হচ্ছে না নেতাদের। তাই প্রচারের জন্য বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নওদা বিধানসভা এলাকায় এভাবেই পাড়া মহল্লায় ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্যার কথা শুনছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।
ব্লক সভাপতি সাফিউজ্জামান বলেন, এক-একদিন দুপুরে তিন-চারটি করে গ্রাম আমরা ঘুরছি। কোনও গাছতলায় চাষিদের দেখলে সেখানে বসে কিছুক্ষণ কথা বলছি। কারও বাড়িতে গিয়ে তাঁদের বোঝাচ্ছি। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিনামূল্যে রেশন, সবুজ সাথী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, স্কলারশিপের টাকা মিলছে কি না, সেগুলি জেনে নিয়ে বোঝাচ্ছি মানুষকে। এই প্রকল্পগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছে। তাই তাঁকেই পুনরায় মানুষ সমর্থন করবে বলেই প্রত্যেকে জানাচ্ছেন। সকলেই বলছেন, গ্রামের চাষিদের দুর্বিষহ অবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকার সার, কীটনাশক ও তেলের দাম আকাশছোঁয়া। এতে চাষিরা দিশেহারা। রাজ্য সরকার চাষিদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা করে বলেই চাষিদের কিছুটা সুরাহা হয়েছে। মোদি সরকারকে হটাতে চাইছেন গ্রাম বাংলার মানুষ। এদিন আমরা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েও রোগী ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেছি। সকলেই চাইছেন আমাদের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান জিতুক।
রায়পুরের বাসিন্দা কুতুব শেখ ও রফিকুল গাজি বলেন, তৃণমূলের নেতারা বাড়ির দাওয়াই এসে বসে আমাদের সঙ্গে গল্প করছেন। চায়ের দোকানে একসঙ্গে বসে চা খেতে খেতে সুখ-দুঃখের কথা বলছি। খুব ভালো লাগছে। মানুষের জন্য যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের আমরা ভোট দেব। এখানকার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পে উপকার পেয়েছেন। তাই তাঁর প্রতিনিধিকেই অধিকাংশ লোকজন সমর্থন করবেন বলেই মনে হয়।
বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, তৃণমূল নেতারা যতই গ্রামে গ্রামে ঘুরুক না কেন। মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছেন যে, মোদিজির প্রতিনিধি নির্মল সাহাকে তাঁরা ভোট দিয়ে পুনরায় মোদি সরকারকে প্রতিষ্ঠা করবে।