আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রচারের মাঝপথে প্রার্থী বদল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে বীরভূম বিজেপি। আগে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছিল তারা। প্রার্থীর ছবি সহ নাম দিয়ে ফ্লেক্স, ফেস্টুন, ব্যানার থেকে লিফলেট বিলি করা হয়েছিল। জেলাজুড়ে দেবাশিসের নামে দেওয়াল লিখন হয়ে যায়। কিন্তু কয়েকদিন আগে দেবাশিসের প্রার্থী পদ বাতিল হয়। নয়া প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন দেবতনু ভট্টাচার্য। তিনি প্রচারে নামলেও কর্মীদের সেই উৎসাহ আর নেই। এরই মধ্যে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্য নিয়েও ক্ষুব্ধ কর্মীদের একাংশ। সোমবার নলহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, মানুষকে কিছু বুঝতে হবে না। প্রতীক দেখে ভোট দিন। এখানেই বিজেপির কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন, মানুষ না হয় প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। কিন্তু বিজেপির কোন প্রার্থীকে তাঁরা ভোট দেবেন সেটা তো জানতে চাইছেন মানুষ। এখনও স্পষ্ট নয়, দেবাশিস না দেবতনু এই কেন্দ্রের প্রার্থী।
বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য মুকুল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার মতো অনেকে এখনও পর্যন্ত বাড়িতে বসে রয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারও হচ্ছে না। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবেই এই অবস্থা। তাছাড়া হ্যান্ডবিল থেকে লিফলেট সবেতেই প্রার্থী দেবাশিস ধরের নাম। কয়েকজন নেতা দেবতনুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মিঠুনও প্রচারে এসে প্রার্থীর নাম বলতে পারেননি। কিন্তু মানুষকে তো প্রার্থীকে চেনাতে হবে। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে কর্মীরা। কথা দিয়েও বহিষ্কৃত নেতাদের সাসপেনশন তোলা হল না। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, তখন দেবাশিসবাবু প্রার্থী ছিল বলে তার নামেই লিফলেট, অঙ্গীকারপত্র ছাপানো হয়েছিল। নতুন প্রার্থীর নামে লিফলেট সর্বত্র পৌঁছবে। তবে দেরি হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে মোদিজির নামে লিফলেট রয়েছে। যে সমস্ত কর্মী সেটা নিয়ে বসে রয়েছেন, তাঁরা ভোটারদের বাড়ি যেতে পারেন। প্রার্থী কে সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। পদ্মফুলে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাবেন।
বিজেপির একাংশ বলছে, দৃঢ় সংগঠন থাকলে প্রার্থী কে তা দেখার দরকার নেই ঠিকই। কিন্তু সেই সংগঠন তো নেই। যেটুকু ছিল সেটাও ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে স্টার ক্যাম্পেনার এনে বিজেপি তাদের পক্ষে হাওয়া তোলার চেষ্টা করলেও তৃণমূল স্তরে সেই হাওয়া এখনও নেই বলেই তাদের দাবি। উল্টে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। তাই ভোটের আগে কার্যত দিশেহারা অবস্থা গেরুয়া শিবিরের।