আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
দলত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একুশের বিধানসভায় মাত্র ৬২৩ ভোটে হেরেছিলাম। আমাকে হারানোর পিছনে ষড়যন্ত্র করেছে আমাদের দলেরই একাংশ। সেকথা আমি জেলার উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কেন হারলাম তা অন্তত একবার পর্যালোচনা করে দেখতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু দল আমার কথা শোনেনি। বরং আমাকেই জেলা কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দিল।
এমনকী দলের বর্তমান নেতৃত্বের উপর বীতশ্রদ্ধ তিনি। শক্তিপদবাবু বলেন, দলে যা চলছে তা হল, পুরনোদের ঝেঁটিয়ে বাদ দাও। ঊর্ধ্বতন নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভার জন্য নয়, ২০২৬-এর বিধানসভার টিকিটের জন্য এখন থেকে গুঁতোগুঁতি করছেন। তাঁর সংযোজন, গত লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষের সংযোজক হিসেবে কাজ করেছিলাম। প্রায় ৬ হাজার ৭০০ভোটে লিড দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে এই দলে যোগ্যতার কোনও ব্যাপার নেই। চামচাগিরি করতে পারলেই সে নেতা হয়ে যাচ্ছে। শক্তিপদবাবুর ক্ষোভ, বর্তমান জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী নিজের মতো করে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। যাঁরা তাঁকে তোষামোদ করছেন, তাঁরাই পদ পাচ্ছেন। এই কালচার বিজেপিতে ছিল না। বর্তমান জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতকে ‘দুর্বল লোক’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপি করছেন শক্তিপদবাবু। ২০১৬ সালের বিধানসভায় এই কেন্দ্র থকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরেই এই কেন্দ্রে শক্তিশালী হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ, পার্টিতে যা চলছে, তার সঙ্গে আর ম্যাচ করাতে পারছি না। নোংরামি চলছে। শুধু তাই নয়, তাঁর মতো আদি নেতাদের অনেকেই আগামীতে দল ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শক্তিপদবাবুর দল ছাড়া নিয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি বলেন, এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।এপ্রসঙ্গে গৌরীশঙ্করবাবু বলেন, ওঁর মতো একজন বর্ষীয়ান নেতা দলের শৃঙ্খলা সম্পর্কেই অবগত নন। ওঁর যদি কিছু জানানোর থাকত, সংবাদমাধ্যমে না জানিয়ে দলীয় ফোরামে জানাতে পারতেন। তবে উনি দীর্ঘদিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তপন প্রধান বলেন, আগামী দিনে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই বিজেপিতে থাকবে না। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে শূন্যে পরিণত হবে।