আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপবাবুর সঙ্গে দলের একটা অংশের বিভাজন স্পষ্ট। মঙ্গলবার রসুলপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভাতেও দিলীপবাবুকে দেখা যায়নি। হেভিওয়েটদের সভায় সাধারণত জেলার প্রার্থীদের দেখা যায়। তাছাড়া দিলীপবাবু প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিও। সাধারণত এই ধরনের পদমর্যাদার নেতারা জেলায় প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলে মঞ্চে থাকেন। কিন্তু দিলীপবাবু রসুলপুরে না এসে নিজের কেন্দ্রে প্রচারে ব্যস্ত থাকলেন। এই কেন্দ্রে জয়ী হওয়া তাঁর কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও ভোটের ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে। সেই কারণে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে দিলীপবাবুর হয়ে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যরা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। একটি দল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও কাজ করছে। মূলত শাসকদলের যেখানে কোন্দল রয়েছে সেইসমস্ত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় সঙ্ঘ টিম নীরবে কাজ করে চলছে। তারা বিভিন্নভাবে রাজ্য সরকারের দুর্বল দিকগুলি তুলে ধরছে। দুর্গাপুর, ভাতার, গলসি, মন্তেশ্বর সহ সমস্ত এলাকাতেই তারা সক্রিয় রয়েছে। কোথায় কীভাবে প্রচার করা হবে তার কৌশল তারাই ঠিক করছে।
দলের এক নেতা বলেন, বিজেপি সংগঠনের উপর ভরসা করলে ভরাডুবি নিশ্চিত। সেটা দিলীপবাবু টের পেয়েছেন। তারপর থেকে সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের তিনি জোরকদমে ময়দানে নামিয়েছেন। দিলীপবাবু বলেন, ভোটের ঢাক বেজে গিয়েছে। সবাই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বহু বুথে এজেন্ট দেওয়ার মতো কর্মী পাবে না। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথগুলিতে তাদের অবস্থা শোচনীয়। বাইরে থেকে লোক এনে প্রচার করলেও তারা এজেন্ট হতে পারবে না। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ প্রচারে বেরিয়ে বলেন, দিদি বাংলার জন্য অনেককিছু করেছেন। মেয়েদের পড়াশোনা থেকে বিয়ে সবকিছুর খরচ তিনি দিচ্ছেন। চাষিরা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। আর মোদি দশ বছরে ভাঁওতা দেওয়া ছাড়া কিছুই করেনি। সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে। এর জবাব বাংলার মানুষ দেবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচারে বেরিয়ে নেতাদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সোমবার বর্ধমানের কালীবাজারের এক বৃদ্ধ দিলীপবাবুকে সরাসরি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করেন। ওষুধের দাম কেন বেড়ে চলেছে তা তিনি দিলীপবাবুর কাছে জানতে চান। একের পর এক প্রশ্নবাণে দিলীপবাবু বেসামাল হয়ে পড়েন। দলের অন্যান্য নেতাদেরও একইভাবে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই সঙ্ঘ পরিবারের মগজধোলাই বিজেপি প্রার্থী দিলীপবাবুর কাছে একমাত্র ভরসা। প্রথম দিকে এই সংগঠন তেমনভাবে ময়দানে নামেনি। কিন্তু গত প্রায় ১৫দিন ধরে তারাই বিভিন্ন গ্রামের পাড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।