আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
ডোমকল ব্লকের দাসেরচকে খয়রামারি বিলের পাশেই মস্তরামের আশ্রম। বৈশাখের প্রতি মঙ্গলবারে আশ্রমের দুই প্রাচীন বটতলার নীচেই মেলা জমে ওঠে। কথিত আছে, মস্তরাম সাধুর মূল আখড়া ছিল জিয়াগঞ্জের সাধকবাগে। তাঁর প্রকৃত নাম সদানন্দ হলেও পরে নাম হয় মোহন্তী মস্তরাম আউলিয়া। লোকে তাঁকে মস্তরাম বাবাজী বলেই চিনতেন। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ, আলিবর্দী খাঁ ও সিরাজদৌলার সমসাময়িক ছিলেন তিনি। শারীরিক ও যৌগিক শক্তির জন্য সুপ্রসিদ্ধ ছিলেন। জীবনের কোনও এক পর্বে তিনি সাধকবাগ থেকে ডোমকলের দাসেরচকে এসে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। এখন যেটা খয়রামারি বিল, সেখানেই নাকি একসময়ে পদ্মা নদী ছিল। পরে গতিপথ বদলের কারণে পদ্মা দূরে সরে গিয়ে বিলের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর ধারে বটগাছের নীচে আস্তানা স্থাপন করে সাধন-ভজন করতেন মস্তরাম বাবাজি। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, তাঁর স্পর্শে নাকি মাংসও ফুলে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশদের অস্ত্রের তরীও নাকি জলে ডুবিয়েছিলেন নিজের অলৌকিক ক্ষমতায়। কয়েকশো বছর পরও তাঁর উপর অগাধ বিশ্বাসে অনেকেই মস্তরাম বাবার আশ্রমে এসে মানত করে যান। সাধুসন্তদের আখড়াও বসে। স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, মস্তরাম বাবার আখড়ায় মানত করলে তিনি কাউকে নিরাশ করেন না। তাই এখনও দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই তাঁর আখড়ায় আসেন। নদীয়া জেলা থেকে আসা মৌমিতা গয়াল বলেন, এখানে মানত করলে মনোবাঞ্জা পূর্ণ হয়। পাঁচ বছর ধরে এখানে আসছি। আজ পর্যন্ত নিরাশ হইনি। ডেরার সাধু রাধেশ্যাম নিয়োগী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই মেলায় আসছি। সাত-আট বছর আগে সাধু হয়েছি। সাধু হয়ে প্রতি বছর এখানে আসি। এখানে মানত করলে মনোবাঞ্জা পূর্ণ হয় বলে প্রতি বছর ভক্তদের ঢল নামে। • নিজস্ব চিত্র