সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জামবনী ব্লকের চিল্কিগড় অঞ্চলে আবাস যোজনায় ১৯৫জন উপভোক্তার বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। অধিকাংশই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। চিল্কিগড় অঞ্চলের খাসিবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা মুক্তারাম পাতর, বিশ্বনাথ দোলাই, সুবোধ বৈঠা, মহিষামুড়া গ্রামের নিত্যনন্দ দাস ও নরোত্তম মাহাত বিডিওর কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার হিজলি হাটচালায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা দত্তের মারফত একটি মিটিং ডাকা হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে বাড়ি তৈরির পাশাপাশি প্রত্যেক উপভোক্তাকে ৬০০০ টাকা করে চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সভায় প্রায় একশো জন উপভোক্তা হাজির হয়েছিলেন।
মুক্তারাম পাতর, বিশ্বনাথ দোলাই, সুবোধ বৈঠাদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বৃহস্পতিবার হাটচালায় মিটিংয়ে যেতে বলা হয়েছিল। ওই মিটিংয়েরই টাকা দিতে বলা হয়েছে। টাকা না দিলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে না বলে নেতারা হুমকি দিয়েছেন। আমরা এদিন বিডিওকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।
যদিও এ ব্যাপারে চিল্কিগড় অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শৈলেন মান্না বলেন, হিজলি হাটচালায় দলীয় প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়েছিল। ১৫দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কথা বলা হয়েছে। তবে টাকার কথা বলিনি। কে কী বলেছে, তা আমি জানি না।
চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমাদেবী বলেন, আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোনও মিটিংও ডাকিনি। জামবনীর বিডিও সৈকত দে বলেন, এদিন আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে দেখা হবে।
অন্যদিকে, চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের একজিকিউটিভ অ্যাসিন্ট্যান্ট জামবনীর বিডিওর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিস কর্মীর নামে আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। বিডিও সেই লিখিত পত্রটি জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছেন, তাঁরা বাড়ি পাবেন কি না? বিডিও বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিন্ট্যান্ট আমাকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি জেলার কাছে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি?