ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মুকুটমণিপুর হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা হোটেলের মালিক সুদীপ সাহু বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে মুকুটমণিপুর নবরূপে সেজে উঠেছে। তাই এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত প্রায় ১০দিনের একটা প্যাকেজ থাকে। সেই প্যাকেজের বুকিং চলছে। তবে অন লাইন বুকিং ছাড়াও স্পট বুকিংয়ের কাজও চলছে জোর কদমে।
মুকুটমণিপুরে মূলত শীতের সময় ও পুজোর সময় পর্যটকদের ভিড় জমে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পাশাপাশি বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেক পর্যটকের মন ভরানোর ডেস্টিনেশন বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। তবে বর্ষায় মুকুটমণিপুর জলাধারের মূল গেটগুলি দিয়ে জল ছাড়া দেখতেও বহু পর্যটক ভিড় জমান। যদিও চলতি বর্ষার মরশুমে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মুকুটমণিপুরে বর্ষাকালীন পর্যটনের মরশুম অনেকটাই মার খেয়েছে। তবে পুজোর মরশুমের রমরমিয়ে বুকিং চলার কারণে বর্ষাকালের ঘাটতি পুষিয়ে যাবে বলে হোটেল ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। ইতিমধ্যেই ৫০শতাংশের মতো বুকিং হয়ে গিয়েছে বলে হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
পুজোয় একটানা লম্বা ছুটি থাকার কারণে মুকুটমণিপুর সহ পাশাপাশি জায়গাকেই পর্যটকরা ঘোরার জায়গা হিসেবে বেছে নেন। মুকুটমণিপুর ছাড়াও পাশেই নদী পেরিয়ে বন পুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক, মাত্র আড়াই কিমি দূরে অবস্থিত অম্বিকানগর রাজবাড়ি ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে তাঁদের রাজবাড়ির পুজো দেখাও হয়ে যায়। তাছাড়া মুকুটমণিপুরের চারপাশে সবুজ পাহাড়ের টানেও অনেকেই সেখানে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মুকুটমণিপুরে নদী-পাহাড় একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। তাই মুকুটমণিপুরের প্রতি পর্যটকদের একটা আলাদা টান থেকেই যায়।
মুকুটমণিপুরে সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১৫টির মতো হোটেল রয়েছে। সমস্ত হোটেলগুলিতে পুজোর বুকিং নিয়ে হোটেল কর্মীদের ব্যস্ততা চরমে উঠেছে। মুকুটমণিপুরের এক বেসরকারি হোটেল ম্যানেজার পল্লব সেনগুপ্ত বলেন, মুকুটমণিপুরকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। তাই পুজোর বুকিং জোর কদমে চলছে।
একটি পর্যটন সংস্থার ডিরেক্টর অনির্বাণ দাশ বলেন, মুকুটমণিপুর বরাবরই একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটনক্ষেত্র। এখানে প্রকৃতির সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থান সবকিছুই একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের কাছে এই রাজ্য ছাড়াও পাশের ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকেও পুজোর বুকিং আসছে। বাম আমলে জায়গাটি অনেকটাই অবহেলিত ছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করে দেওয়ার ফলে মুকুটমণিপুরের চেহারাই বদলে গিয়েছে। জলাধারের পাড়ে বসেছে বাতিস্তম্ভ। মুকুটমণিপুরের জলাধারের পাড় পথচিত্রে সাজানো হয়েছে।
মুকুটমণিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুরকে রাজ্য সহ গোটা দেশের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছেন। তাই পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় দিন দিন বাড়ছে।