ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ভালো পদে কাজ করেন এমন মানুষও রেশনে দু’টাকা কেজির চাল কিনে বাজারে বিক্রি করে দেন। এই তালিকায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, স্কুল শিক্ষক সকলেই রয়েছেন। অথচ প্রকৃত প্রাপকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলায় এরকম লক্ষাধিক কার্ড রয়েছে। এটা চলতে পারে না। আমরা ডিলারদের কাছে থেকে এইসব লোকজনের তালিকা নেব। পরে, নিয়ম মেনে সেইসব কার্ড বাতিল করা হবে। প্রকৃত যাদের এই কার্ডের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা যাতে এই ধরনের কার্ড পান আমরা সেই চেষ্টা করব। ঠিক ছিল, চলতি মাসের ১৭তারিখ এই বিষয়ে ডিলারদের নিয়ে বৈঠক করব। কিন্তু, জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরই এই বৈঠক করা হবে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরকেএস ওয়াই-১ কার্ড প্রাপকদের রেশনে দু’টাকা কেজি ধরে চাল, গম দেওয়া হয়। আর আরকেএসওয়াই-২ কার্ড প্রাপকদের রেশনে ১৩টাকা কেজি দরে চাল, ৯টাকা কেজি দরে গম দেওয়া হয়। ফলে, যেসব গ্রাহকের আরকেএসওয়াই-১ কার্ড রয়েছে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলেও রেশন ডিলাররা তাদের দু’টাকা কেজি দরে চাল, গম দিতে বাধ্য। দিব্যি ওই কার্ডে বছরের পর বছর ধরে ওই কার্ডে জলের দরে চাল, গম কিনে খোলা বাজারে অনেকে বিক্রি করছেন। জেলার এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ফজলু আলম বলেন, এই জেলায় বেশ কিছু বিত্তশালী লোকজনের আরকেএসওয়াই-১ কার্ড রয়েছে। আর ওই কার্ড থাকলে ডিলাররা রেশন দিতে বাধ্য। অথচ জেলায় বহু গরিব মানুষের আরকেএসওয়াই-২ কার্ড রয়েছে। রেশনে তাঁদের বেশি দামে চাল, গম কিনতে হয়। তাদের সেই কার্ড বাতিল করে, তারা যাতে আরকেএসওয়াই-১ কার্ড অর্থাৎ দু’টাকা দরে চাল, গম যাতে রেশন পান সেবিষয়ে সরকার দৃষ্টি দিলে ভালো হয়। বিত্তশালীদের কার্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যদিও বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এখন কার্ড বাতিল করার প্রয়োজন হলে কেন? বিত্তশালী মানুষদের হাতে কী করে ওই কার্ড গেল, সবার আগে এটা তদন্ত করে দেখা দরকার।